
১১ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শ্বাসরোধে তিন তিনটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামের। ২০২৩ সালের ঘটনা এটি। এ ঘটনার মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্রও দিয়েছে। তবে আসামি চার মাস আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নিহতদের পরিবার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সৌদিপ্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার বাড়িতে তাঁর স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), দুই মেয়ে মোহনা আক্তার (১১) ও বন্যা আক্তারকে (৭) নিয়ে থাকতেন। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে তিনজনেরই লাশ পাওয়া যায় দুটি বিছানায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মামলাটির মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন হোসেনপুর থানার তৎকালীন ওসি আসাদুজ্জামান টিটু। তিনি জানান, আসামি জাহাঙ্গীর আলমের হাতে অনেকগুলো নখের আঁচড় পাওয়া যায়। সিআইডির সহযোগিতায় নিহত তিনজনের নখের নমুনা ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরের আঁচড়ের নমুনা আলামত সংগ্রহ করা হয়। পরে মিলিয়ে দেখা যায়, নিহত তিনজনের নখের মধ্যে জাহাঙ্গীরের ডিএনএ নমুনা পাওয়া গেছে। এতে নিশ্চিত হওয়া যায়, জাহাঙ্গীরই ওই তিন হত্যায় জড়িত। এরপর জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলার বাদী কবিরুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বোন এবং ভাগনিকে হত্যাকারী জাহাঙ্গীর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে। প্রায়ই জাহাঙ্গীর আমার সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। আমি তখন ভয় পেয়ে চলে যাই। যদি কোনো ক্ষতি করে ফেলে আমার! আমাকে প্রায়ই হুমকি দেয় এবং লোকজন ধরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। আমি আমার বোন এবং ভাগনির সঙ্গে যা ঘটেছে, তার বিচার চাই।’
-আজকের পত্রিকা