
চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেছে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহবায়ক সজিবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যাক্তি। বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্ট হাউজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
এদিকে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হঠাৎ করে নৌশাদকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে টুটুল ও সজিবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যাক্তি৷ পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টুটুলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে মারধর করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, জ্বি জ্বি মারছি। আমার গোষ্ঠীর দাদা মোমেদ আলীর দোকান একমাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেয় নৌশাদ। দোকান চালু করতে হলে নৌশাদকে ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে।
মোমেদ আলীর ছেলে আশিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের দোকান একমাস আগে বন্ধ করে দেয় নৌশাদ। আমরা ইউনিয়ন পরিষদকে ভাড়া দিতাম। কিন্তু উনি চাইছে উনাকে ১০ হাজার টাকা করে ভাড়া দিতাম। আর জামানত বাবদ ১ লাখ টাকা দিতে হবে। আমার ভাতিজা টুটুলকে বলছিলাম বিষয়টা শেষ করে দিতে। পরে টুটুলকে ভাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকে নৌশাদ। পরে টুটুল নৌশাদকে জানায় গোষ্ঠী আছে গোষ্ঠীকে জানিয়ে ভাড়াটা দেই। পরে আজকে এ ঘটনা ঘটে। আমি গণ্ডগোলে ছিলাম না।
ভুক্তভোগী মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদার বলেন, আমি কিছুই জানি না কি কারণে আমাকে অর্তকিতভাবে হামলা করে মারধর করলো। আমি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করি নাই। আমি জানিই না কিছু। ওরাই জানে কি কারণে আমাকে মারলো।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন বলেন, এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিউল আলম বলেন, আমি কিছুই শুনিনি। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…