কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দীন ও তাঁর পুত্র মো. তৌফিকুল হাসান সাগরের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রথম মামলাটি দায়ের করেন পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার দরদরা গ্রামের বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম। এ মামলায় আওয়ামী লীগের ৯৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৮০-৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন, জেলা শ্রমিকলীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরীদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একরাম হোসেন টিপু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নাজমুল দেওয়ান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম ও সাধারন সম্পাদক তুহিন, হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিমেলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ওসি জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষন করে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ এনে প্যানাল কোড ও গুলি করে হত্যা চেষ্টায় মামলাটি করা হয়। দ্বিতীয় মামলাটির বাদী উপজেলা জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সভাপতি মোস্তফা। এ মামলায় আওয়ামী লীগের ৭০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, পাকুন্দিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, নারান্দী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ওসি জানান, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষন করে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ এনে প্যানাল কোড ও গুলি করে হত্যা চেষ্টায় মামলাটি করা হয়। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, মামলা দুটিতেই সাবেক এমপি এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দীনকে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। তথ্য, সাক্ষ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।