বিশেষ প্রতিবেদক : সম্প্রতি পাকুন্দিয়া উপজেলাসহ সারাদেশের ৪৯৩ টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
গত ৮ মে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা এমদাদুল হক জুটন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৭৩৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন, কিন্তু মাত্র ৩ মাসের মাথায় ভেঙে যায় তার মসনদ।
তার কর্মী সমর্থক ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, এই নির্বাচনে জোটন খরচ করেছেন প্রায় ৩ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগই খরচ করেছেন প্রতিপক্ষ দলের লোকজন নিজের পক্ষে ভিড়াতে এবং ভোটারদের অসদুপায়ে খুশি করতে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করার প্রজ্ঞাপন জারি করলে ‘পাকুন্দিয়া প্রতিদিন’ সংবাদ প্রচার করে। এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ও বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে নেটিজেনরা তার এমন বেপরোয়া অর্থ খরচের বিষয়ে সমালোচনা করতে দেখা যায়।
রাহিমা রাহি নামের একজন লিখেছে, “পাটুয়াভাঙ্গার মহিলাদের সেন্ডালিনা সাবান এখনো শেষ হয়নি”।
মোঃ এনামুল নামের একজন লিখেছে- ‘টাকা দিয়ে নির্বাচন নই, ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন কামনা করি’
আনোয়ারুল হক জোনায়েদ লিখেছেন -‘এত টাকা খরচ করলো, আর ভাবলো ৫ বছরের জন্য স্থায়ী কিন্তু ক্ষমতা বেশিদিনের না’
সম্প্রতি স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী-জনতার কর্মসূচিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নেয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জোটন। যার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গত ৩ দিন ধরে চেয়ারম্যান জোটনকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।
পাপ্র/ডে/ ইরফান তালুকদার