কিশোরগঞ্জে ১টি পাইপগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল ১টি চাপাতিসহ ২ জনকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার ২৮ জুন দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে সদর উপজেলা কর্শাকড়িয়াল নতুন বাজার থেকে মনোকর্শা গ্রামগামী পাঁকা রাস্তা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মো. নবী হোসেন(৪৯) সদর উপজেলার মনোকর্শা এলাকার মৃত আ. খালেকের ছেলে ও মো. দেলোয়ার হোসেন(২৪) একই উপজেলার পাশ্ববর্তী শেওড়া গ্রামের মো. সোহরাব মিয়ার ছেলে।
শনিবার ২৯ জুন দুপুরে র্যাব-১৪ সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কোয়াড্রন লীডার কোম্পানী কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির।
সংবাদ সম্মেলনে স্কোয়াড্রন লীডার কোম্পানী কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের রাত্রিকালীন টহল টিম মাদক বিরোধী ও অবৈধ মালামাল উদ্ধার অভিযানসহ নিয়মিত টহল ডিউটির অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল নতুন বাজার থেকে মনোকর্শা গ্রামগামী পাঁকা রাস্তায় চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে। শুক্রবার রাত পৌনে ২টার দিকে আটক নবী হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন চেকপোস্টের নিকট আসলে তাদের দেহ তল্লাশী করে ১টি পাইপগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক দুই জনের সাথে ব্যাটারী চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলের পার্শ্বে তাদের প্রতিবেশি মো. ওসমান আলীর সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে তারা উল্লেখিত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে ওসমান আলীকে ফাঁসাতে তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লীডার কোম্পানী কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে আটক নবী হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নিজেদের হেফাজতে অস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করে। এছাড়া দেশীয় পাইপগানটি দেলোয়ার হোসেন নিজে তৈরি করেছে বলে সে স্বীকার করে। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।