ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ। বুধবার (৫ জুন) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার কোদালিয়া থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কোদালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া (৫০) ও কিশোরগঞ্জের কালটিয়া পূর্বপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে জজ মিয়া (৪৫)।
হাবিব পেশায় কৃষক আর জজ মিয়া অটোরিকশাচালক বলে জানা গেছে।
পাকুন্দিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই গৃহবধূকে নিজ বাড়ি থেকে জজ মিয়া তার অটোরিকশায় তুলে হাবিব মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। পরে হাবিব মিয়ার বাড়ির পেছনের আখক্ষেতে নিয়ে দুজন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরদিন সকালে সেখান থেকে গৃহবধূ নিজেই কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে ধর্ষিতার স্বামী তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত হাবিবের বাড়িতে যান। সেখানে হাবিবের সঙ্গে জজ মিয়াকেও বসে থাকতে দেখেন তারা। তাদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে ধর্ষিতার স্বামী মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান। তিনি পাকুন্দিয়া থানার ওসিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু (পিপিএম) বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে অভিযুক্ত হাবিব মিয়ার বাড়ি থেকে হাবিব ও জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা গৃহবধূকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
-সূত্র: কালের কন্ঠ