স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরের পোর্টসন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে নিহত নির্মাণ শ্রমিক হানিফের (৩৮) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইসরাইল ভূঁইয়ার পুত্র। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার সময় রাত ৮টায় এ দূর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। হানিফের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি স্বজনদের।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, হানিফ মিয়ার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি ছোট বেলায় পিতা-মাতাকে হারিয়ে ফুফুর বাড়িতেই বড় হন। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে হানিফ মিয়া পড়ালেখা করতে পারেনি। সংসার ভালভাবে না চলাতে পারায় প্রায় ১২ বছর আগে ভাগ্য পরিবতর্নের আশায় আত্মীয় ¯^জনদের কাছ থেকে ধারকর্জ করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। তিনি সেখানের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানীতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ করার সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে চাপা পড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর সাথে থাকা দুইজন সহকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে মালয়েশিয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরত সোহেল নামে তাঁদের এক আত্মীয় মুঠোফোনে হানিফের মৃত্যুর খরবটি তাঁর পরিবারকে জানায়।
এতে নিহত হানিফের স্ত্রী শিখা আক্তার, কন্যা পপি ও ছেলে সিয়াম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে আশেপাশের লোকজনসহ আত্মীয়- স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এসময় নিহতের স্বজনরা লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। মালয়েশিয়ায় নিহত হানিফের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করবো।
পাপ্র/সুআআ