
স্টাফ রিপোর্টার: সুখের সংসার গড়ে তোলার আশ্বাসে বিয়ে করে প্রথমে কন্যা সন্তান হওয়ার পর বিক্রি করে দিয়েও ক্ষান্ত হননি অর্থ লোভী স্বামী মোখলেছ মিয়া (৪৮)। তারপর পুত্রসন্তানের জন্ম হলেও বাড়ে দুই লাখ টাকা যৌতুকের জন্য নিপীড়ন-নির্যাতন এবং ডিভোর্সের হুমকি।
এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের আশ্রয় নিলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজিহাটি গ্রামের দিনমজুর মধু মিয়ার মেয়ে কামরুন্নাহার(৩৫)। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০৩ এর বিজ্ঞ বিচারক জিন্নাত আরা এ ঘটনাটি তদন্ত করে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজিহাটি গ্রামের মধু মিয়ার মেয়ে কামরুন্নাহারকে ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট ২ লাখ টাকা দেনমোহর এবং ২০ হাজার টাকা উসল রেখে বিয়ে করেন একই গ্রামের আবুল হাসেনের ছেলে মোখলেছ।
সংসার চলাকালীন সময়ে প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হলে গোপনে তা বিক্রি করে দেন স্বামী মোখলেছ। এ অবস্থায় শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন স্ত্রী কামরুন্নাহার। তারপর আরেকটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
এর মধ্যে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী মোখলেছ। যা দিতে না পারায় চলে দিনের পর দিন নির্যাতন। পরবর্তীতে তার বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এর পর থেকে আর ভরণপোষণও দিচ্ছনা স্বামী মুখলেছ মিয়া।
এ বিষয়ে বার বার যোগাযোগ করলেও অভিযুক্ত মোখলেছ মিয়ার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ মামলার বিষয়ে আদালত থেকে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পাকুন্দিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতের চিঠি আমি এখনও পাইনি। আর আমি শারিরিকভাবে অসুস্থ। তাই আদালতকে অনুরোধ করবো তদন্তভার অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দিতে’।
শাহরিয়া/এসআর