জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শাহিনুর কে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু হানিফের কিছু কথা
প্রসঙ্গ: জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা ২০২২ ও ২৩ খ্রি.
মেয়েটি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় ৫টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে পাঁচটিতেই ১ম স্থান অধিকার করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। চরফরাদি, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জের জন্য এ এক দারুণ সুখবর।
উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক বিভাগ থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে মাত্র ০১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। এর আগে সে উপজেলা, জেলা ও সর্বশেষ বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আজকের এ জাতীয় প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগের হয়ে, অন্য বিভাগের প্রতিযোগীদের পরাজিত করে, সবকটি ইভেন্টেই ১ম স্থান অধিকার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
গত ০২ বছরে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে আজ সে চ্যাম্পিয়ন হয়।
প্রত্যক্ষ দর্শনে দেখলাম, অন্য প্রতিযোগীরা তার সাথে প্রতিযোগিতাই করতে পারছে না। সে যেন ধরাছোঁয়ার অতীত, নাগালের বাইরে। সবচেয়ে যে বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে তা হলো প্রতিযোগিতা স্থলে ‘কিশোরগঞ্জ’, ‘কিশোরগঞ্জ’ রব উঠছিল ক্ষণে ক্ষণেই। কেউ কেউ উপজেলা, গ্রামের নাম জিজ্ঞেস করছিল।
এমন পরিস্থিতিতে আমি গর্ববোধ করেছি ভালোভাবেই। মেয়েটির এমন লোকায়িত প্রতিভা মুগ্ধ করেছে আমাকেসহ সবাইকে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে সে ভালোভাবেই পরিচিতি পেয়েছে।
এরই মধ্যেই সে দুইটি স্বর্ণপদকসহ ৬০টিরও বেশি সার্টিফিকেট, অসংখ্য মেডেল, চ্যাম্পিয়ন ট্রফি (১৬টি) অর্জন করেছে। সার্টিফিকেটগুলো খুবই ভালো মানের।
উল্লেখ্য, মেয়েটি (শাহিনুর) চরফরাদি গ্রামের হাবিবুর রহমান ও হাফিজা আক্তারের মেয়ে। আমার খালাতো বোন হয়। বর্তমানে সে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
তার জন্য অশেষ শুভকামনা।
লেখক
আবু হানিফ,
শিক্ষার্থী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ