
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।এ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে চায়ের দোকান, হাট-বাজার থেকে শুরু করে সর্বত্র। ঠান্ডা আর শীতকে উপেক্ষা করে অলিতে গলিতে চলছে প্রচার-প্রচারণা, চলছে উঠান বৈঠক। গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দাড়স্থ হচ্ছেন স্ব-স্ব মার্কার প্রার্থীরা। উপজেলার ৮ নং হোসেন্দী ইউনিয়নের
নৌকার প্রার্থীর সাথে সমানতালে নির্বাচন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মানসুরুল হক ( বাবুল) চশমা প্রতীকে।
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন মোঃ হাদিউল ইসলাম (হাদী), এছাড়াও মহিবুল্লাহ আল মাহদী( মোটরসাইকেল ), মজিবুর রহমান আকন্দ হামদু (আনারস) এবং মোহাম্মদ নাজমুল কবির( ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
চশমা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটারের ধারে ধারে গিয়ে ভোট চাইছেন। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, মোঃ মানসুরুল হক ( বাবুল) ব্যাক্তি ইমেজ,পারিবারিক ইমেজ, দীর্ঘদিনের একজন সক্রিয় সমাজসেবক হিসেবে তার বেশ পরিচিতি রয়েছে এলাকায়। যা বিজয়ী হতে সহায়ক হবে বলে অনেকেরই ধারনা। তথাপি যোগ্যতার বিচারেও এলাকার মানুষ চশমা প্রতীকের প্রার্থীকেই এগিয়ে রাখছেন। তিনি জানান, “ইউনিয়নের লোক আমাকে মূল্যায়ন করেছে, এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। আশা করি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আমি ইউনিয়নের সম্মান রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ্।”
(২০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ করেছে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মানছুরুল হক (বাবুল)। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হোসেন্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়ে এ গণসংযোগ করেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানসুরুল বাবুল কে চেয়ারম্যান পদে চশমা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। মানসুরুল হক বাবুল বলেন -আমি ২০১১ সালে বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আকন্দ হামদু থেকে ৭৩৭ ভোট বেশী পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি আবার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হবো বলে আশাবাদী।
