
মোঃ রফিকুল ইসলাম কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ লাইন বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানি চাপে রাস্তা ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যায় । ফলে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে ১০টি গ্রামের লোকজনের । স্কুল কলেজ পড়োয়া শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ।
উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের মসূয়া বাজার থেকে বেতাল বাজার হয়ে উপজেলা সদরে আসার একমাত্র রাস্তা এটি। বেতাল বাজার থেকে ৫০০ মি. উত্তরে মসূয়া- বেতাল মড়কে এ রাস্তাটি ভেঙ্গে নদীতে চলে যায়। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরী প্রতিকার দাবি করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল। ৩ বছর পূর্বে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ লাইনটি বন্ধ করে স্থানীয় সাফির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ করে। এখন একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরে দিয়ে পানি নদীতে যায়। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির ফলে পানির চাপে রাস্তাটি ভেঙ্গে নদীতে নেমে যায়। ফলে বন্ধ রয়েছে ১০ টি গ্রামের লোকজন ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে সবজি নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের । এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বেতাল গ্রামের বাসিন্দা মো. ডালিম মিয়া জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য এখানে ড্রেনেজ লাইন ছিল। ড্রেনেজ লাইন বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে রাস্তাটি ভেঙ্গে নদীতে চলে যায়।
মসুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে রাস্তা ভাঙ্গনের স্থানে মাটি, বালু দিয়ে ভরাট করা হবে। রাস্তাটি ড্রেনেজ লাইন বন্ধ করে বাড়ি নির্মান করা হয়েছে সেই বিষয় আমার জানা নাই।
উপজেলা প্রকৌশলী অনতু বল জানান, রাস্তাটির বিষয়ে জেলাতে জনানো হয়েছে মোবাইল মেইনটেনেন্স মাধ্যমে কোয়া দিয়ে আপাতত রাস্তাটি মেরামত করা হবে। আর মাটি ভরাটের কাজ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল জানান, এই রাস্তাটি ভাঙ্গনের বিষয় আমি অবগত নয়। উপজেলা প্রকৌশলীকে পাঠাবো। ভাঙ্গা রাস্তাটি মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাপ্র/ সুআআ
