কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার (৫জুন) বিকালে উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের সাটিয়াদী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন।
জানা যায়, পাটুয়াভাঙ্গার আউলিয়া পাড়ার ওয়াদুদের ছেলে ইয়াছিনের (২০) সাথে একই ইউনিয়নের মধ্য সাটিয়াদী গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে তামান্নার (১৬) সাথে বিয়ে ঠিক করে তাদের পরিবার। বাল্য বিবাহের আয়োজন শুরু হওয়ার পর এ খবর জানতে পারেন গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহমান এবং তিনি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্তকে বিষয়টি জানান।
পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত সহ অাহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রর উপ-পুলিশ পরিদর্শক জিন্নাত অালী একদল পুলিশ নিয়ে সেখানে হাজির হন। এসময় বিয়ে আয়োজকদেরকে তারা বাল্যবিবাহের কুফল ও আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানান এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেওয়া হয়।
বাল্য বিবাহের গোপন সংবাদ প্রশাসনের কাছে পৌঁছানোর জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দত্ত গ্রাম পুলিশ আব্দুর রহমানকে ৫০০ শত টাকা পুরস্কৃত করেন।