
মহিম ইসলাম : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ১৫ দিনে এক শিশু ও কিশোর সহ করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন। লক ডাউন করা হয়েছিলো ব্যবাসা প্রতিষ্ঠান সহ বসত বাড়ি।
বোধবার (৪ জুন) রাত ১২ টায় কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মুজিবুর রহমান পাকুন্দিয়া উপজেলার ৭ জন সহ জেলায় নতুন করে ৫২ জনের দেহে করোনা পজিটিভ এর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এখন পর্যন্ত পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৩৩২ টি নমুনায় করোনা সনাক্ত হয়েছে ২৪ জনের। ইতিমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
বিগত ১৫ দিনে পাকুন্দিয়া উপজেলার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্য সময়ের চাইতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো বহুগুণ। যা উপজেলার প্রতিটি মানুষের জন্য ছিলো ভয়ানক অবস্থা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাধারন মানুষের অসচেতনা, স্বাস্থ বিধি না মেনে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা এবং রাতের আঁধারে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আসা গাড়ি ভর্তি মানুষে স্বাস্থ্য বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে চলাফেরা অন্যতম কারন হিসেবে ইতিমধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে পাকুন্দিয়া হবে জেলার অন্যতম করোনা হটস্পট। যা পাকুন্দিয়া উপজেলা বাসীর জন্য একটি ভয়ানক পরিস্থিতি ধারন করবে। তার জন্য দরকার সঠিক স্বাস্থ্য বিধি নিষেধ মেনে চলা। সীমিত আকারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাপড়ের দোকান সহ সব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা ও পরিচালনা করা। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সহ যেসব এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেইসব এলাকা থেকে যেন কোনো পাকুন্দিয়ার উপজেলার কোনো শ্রমজীবি বা কর্মজীবী মানুষ অবাধে উপজেলায় না আসতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে পারে সেই ব্যবাস্থায় যেন করা হয়।