শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাকুন্দিয়ায় উন্মুক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত
Update : শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:  কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিয়ে উন্মুক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী এম এ মনসুর কাঞ্চন এবং এবিসি এডুকেশন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে উপজেলা পোড়াবাড়ীয়া এম. এ. মান্নান মানিক কলেজে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার ধরন, মান, স্কলারশিপ, খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন সময় চাকরি, স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ, ভিসা ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা উপস্থাপন করেন এবিসি এডুকেশন অস্ট্রেলিয়া ও কো অর্ডিনেটর এটিসি কলেজের মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।

এ সময় তিনি জানান, বিশ্বের সেরা এক শ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটিই অস্ট্রেলিয়ায়। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১ হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে খুব সহজেই উচ্চশিক্ষা নেওয়া সম্ভব। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সেদেশের সরকার প্রতিবছর ২৫ কোটি ডলার পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে। এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ২৫-৫০% স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। এ ছাড়াও উচ্চ শিক্ষা লাভের পর সেখানে চাকরির পাশাপাশি স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা :

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাউন্ডেশন-ডিপ্লোমা- স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য ও-লেভেল, এ লেভেল -এইচএসসিতে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য স্নাতক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে। রেজাল্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তারপরও মনে রাখতে হবে উচ্চশিক্ষার জন্য বরাবরই ইংরেজিতে ভালো হওয়াটা আবশ্যক। আইইএলটিএস এ ব্যান্ড স্কোর ৬-৬.৫ হলে বেশ ভালো অফার পাওয়া যায়।

উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় একদিকে যেমন বৃত্তির সুযোগ আছে, পাশাপাশি স্নাতক-আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে অনেক বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

বিশেষত: প্রকৌশলের বিষয়, ডাটা সাইন্স, আইটি, সাইবার সিকিউরিটি, মেডিকেল সাইন্স, নার্সিং, অ্যাকাউন্টিং, পাবলিক হেলথ, কেমিস্ট্রি, ফিজিওথেরাপি- এসব বিষয়ে খুবই মানসম্পন্ন পড়াশোনা এবং পরবর্তী সময়ে ভালো চাকরির সুযোগ রয়েছে এখানে এবং ৩-৫ বছর পর্যন্ত পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক পারমিটসহ পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে।

এখানে পড়াশোনা চলাকালীন খণ্ডকালীন চাকরি ও ছুটির সময় ফুলটাইম চাকরির সুবিধা আছে। যা দিয়ে খুব সহজেই থাকা-খাওয়ার খরচ চলে যায়। অস্ট্রেলিয়ায় যারা পড়তে ইচ্ছুক সেসব শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘এবিসি এডুকেশন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ’ অনেক বছর ধরে এর অস্ট্রেলিয়ার নামিদামি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি ও ভিসার জন্য সহযোগিতা করে আসছে।

এবিসি এডুকেশন অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ অফিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খায়রুজ্জামান খান জানান, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটির শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের দক্ষ পরামর্শকদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার মান, অবস্থান, শিক্ষক কারা, পড়ার বিষয়, আইইএলটিএস কোর্স এবং কীভাবে স্কলারশিপ বা পড়ার সুযোগ এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা পেতে পারেন।

এম. এ. মান্নান মানিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইচ এম গ্রুপের চেয়ারম্যান এম. এ. মান্নান মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন, ইংলিশ মোটিভেশনাল স্পিকার ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান (অভি)সহ এম. এ. মান্নান মানিক কলেজের প্রভাষকবৃন্দ।

উপজেলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীরা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

গ্রামের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য এম. এ. মান্নান মানিক কলেজে একটি আইএলটিএস কোর্স চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী এম. এ. মনসুর কাঞ্চন।

 

 

পাপ্র/এসআর

 

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ