মোঃ সাব্বির আহমেদ : সাউথ এশিয়ান বিজিনেস এক্সেলেন্স বিগত ২০১৬ সাল থেকে সাউথ এশিয়ান দেশগুলোর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি দেয় তাদের যোগ্যতা এবং তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার ভিত্তিতে। প্রতি বছর, উদ্ভাবন, কৃতিত্ব, নেতৃত্ব এবং অবদানের মতো বিভিন্ন মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে দক্ষিন এশিয় আটটি দেশের মধ্য থেকে একটি স্বাধীন কমিটি দ্বারা মনোনয়ন মূল্যায়ন করা হয়। সেখান থেকে অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে জুরি বোর্ড সমাজ এবং অর্গানাইজেশন এর প্রতি অবদান থেকে মোট ২০ টি ক্যাটাগরিতে এই স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে। ২০২২ সালে আউটস্ট্যান্ডিং হিউম্যান রিসোর্স লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড আন্ডার হিউম্যান রিসোর্স লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার লাভ করেন জনাব এবিএম ইউসুফ আলী খান এবং উইমেন লিডারশীপ ইন হেল্থ কেয়ার সেক্টর এ সম্মানজনক এই স্বীকৃতি অর্জন করেন, ডাঃ শাহেদা আনোয়ার, এমবিবিএস, এমফিল, পিএইচডি।
জনাব এবিএম ইউসুফ আলী খান বর্তমানে ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি তে জিএম এইচ আর হিসাবে কর্মরত আছেন। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ এর এই কৃতি শিক্ষার্থী আইবিএ থেকে হিউম্যান রিসোর্স এর উপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি অধিকতর শিক্ষা অর্জনের জন্য অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে হিউম্যান রিসোর্সের উপর প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে হিউম্যান রিসোর্স এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পজিশন এ কাজ করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি এর আগে সর্বপ্রথম ব্যাক্তি হিসাবে ২০০৮ সালে স্যান্ডোস ডাইভারসিটি এন্ড ইনক্লুশন পুরস্কার লাভ করেন। একই সাথে তিনি ২০০৪ সালে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় শ্রম আদালতের জুরি মেম্বার হবার স্বীকৃতি লাভ করেন। সার্টিফাইড ক্যারিয়ার কোচ এবং এবং এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনার হিসাবে কর্পোরেট জগতে জনাব এবিএম ইউসুফ আলী খান বিশেসভাবে পরিচিত।
ডাঃ শাহেদা আনোয়ার, এমবিবিএস, এমফিল, পিএইচডি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনলজি ডিপার্টমেন্ট এ কর্মরত আছেন। তিনি এর আগে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনলজিতে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত হয়ে মঞ্জুরি কমিশন থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়ে ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসাবে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন হতে মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনলজি এর উপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এ ডিস্টেন্স লারনিং প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন সময়ে এবং মেডিকেল খাতে অসামান্য অবদানের তাকে এই সন্মানে ভূষিত করা হয়।
সাউথ এশিয়ান বিজিনেস এক্সেলেন্স ২০২২ সালে ২০টি ক্যাটাগরিতে দক্ষিন এশিয় ৮ টি দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও -এ গত ২২ সেপ্টেম্বর জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সন্মানে ভূষিত করে।
পাপ্র/সুআআ