হুমায়ূন কবির: শরৎকাল যেন ধবধবে সাদা ফুলের অরণ্যের দিন। এই সাদা রং মনকে রাঙ্গিয়ে তুলে নতুন রূপে।শরতের এ রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে।
মৃদু বাতাসে ঢেউ খেলানো কাশফুল দেখে মনটা ভরে ওঠে আনন্দে। তাইত আত্মতৃপ্তি আর মুগ্ধতায় নিজেকে নব রূপে সাজাতে ছুটে চলা শরতের কাশফুলের কাছে । গোধুলী লগ্নে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমিদের পদচারণায় মুখরিত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের মির্জাপুরের তালতলা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়।
ঋতুর হিসেবে প্রকৃতিতে শরৎ বিরাজমান। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে শরৎ অনন্য। শরতের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ কাশফুল। আকাশের সাদা মেঘের সঙ্গে বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায়।
ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য বেড়াতে আসাদের কেড়ে নিচ্ছে মন। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা প্রিয়তমাকে নিয়ে, কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। দোল খাওয়া কাশফুলের নমে ছোঁয়ায় মোহিত হচ্ছেন তারা। কেউবা সেই অনুভূতিগুলোকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন। অনেকেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যুবক যুবতীরা কাশবনে ঘুরতে পছন্দ করে। এখানে এসে ছবি তুলে, ভিডিও করে, খুব সুন্দর সময় কাটায়।
বর্ষার শেষ দিকে নদের পারের প্রায় সবজায়গা কাশফুল দেখা যেতো কিন্তু এখন সেটা নেই। এখানে ব্যতিক্রম, চারিপাশে কাশফুলে ভরা। কাশফুল আমাদের গ্রামীণ একটি সৌন্দর্য। নতুন প্রজন্মের অবশ্যই কাশফুলের সংস্পর্শ প্রয়োজন। এতে ওদের মানসিক শক্তি আর কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
শরতকাল ছাড়া তো কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়না। কাশফুলের গন্ধ না থাকলেও নান্দনিক সৌন্দর্য আছে।
শহরের কোলাহল ছেড়ে একান্ত কিছু সময় ফুরফুরে মনে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, স্পর্শ নিতে পারেন শরতের কাশফুলের।
পাপ্র/আইরিন লাবনী