আমিন আশরাফ
বিষ্টির দিনটা হয় ঘুমকাতুরে। আলস্য আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি বেলা বাড়ছে। বিষ্টির দিনে কি ঘড়ির কাটা এক জায়গায় স্থির থাকে? চারপাশে আলোআঁধারি চেপে থাকলে তাই মনে হয়।
মোবাইলের যুগে নষ্ট হওয়ার পর আর দেওয়াল ঘড়ি কেনা হয় নাই, মোবাইলে ঘড়ি দেখাটা বেশ সংগ্রামের। জানালা গলে ঘরের বাইরেটা দেখার চেষ্টা করি, পাশে একটা ডোবায় বিষ্টিরা যেন খুব ধীরে সুস্থে পড়ছে। অপরিস্কার ডোবায় কে যেন মাগুর মাছ চাষ করেছে। মাগুরের দল দিব্যি মাথা উঁচিয়ে ডোবা নামের পুকুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
শহরবাসী এখনও ভোর দেখে নাই দুচার জন ফজরের জামাত আদায়কারী ছাড়া। বিষ্টির তেজ নেই, খুব একটা। পড়ার দরকার পড়ছে তাই তারা দিব্যি আশপাশ ভিজিয়ে চলেছে। বিষ্টি এলে এখন আর নিজের শহরের মতো খুশি হতে পারি না, ময়লা আর কাদায় রাস্তাঘাটে চলা খুব একটা সহজ হয় না।
জীবনটা পোয়াতি হয়ে যাচ্ছে, অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া গুছিয়ে শাড়ি পড়তে না পারা গাঁয়ের কোনো অচেনা মেয়ের মতো। এখনও হরদম দুর্গমপথে চলার আরাধনা করে চলেছি। এর শেষ হয়তো আমিও চাই না। বেঁচে থাকলে জীবনের বড় সৌন্দর্যই ভাসে হায়াহীন দুচোখে।
লেখক,অনুবাদক ও প্রকাশক
কিশোরগঞ্জ।