ঋণমুক্তির জন্য হাদিসে বিভিন্ন দোয়া বর্ণিত হয়েছে। এ দোয়াগুলো অত্যন্ত কার্যকর। সময়মতো ঋণ পরিশোধের সর্বাত্মক চেষ্টা করার পাশাপাশি দোয়াগুলো ভালো করে মুখস্থ করে নিয়ে নিয়মিত আমল করতে পারলে আল্লাহ চান তো ঋণমুক্ত হওয়া সম্ভব।
১. সুযোগ পেলেই বেশি বেশি এ দোয়া পড়তে হবে। ফরজ নামাজের পর পড়ব। আজানের পর পড়ব। দুই খুতবার মাঝে পড়ব। জুমার দিন আসরের পর পড়ব। নফল সুন্নতের সিজদা ও শেষ বৈঠকে পড়বে اللَّهُمَّ فَارِجَ الْهَمِّ، كَاشِفَ الْغَمِّ، مُجِيبَ دَعْوَةِ الْمُضْطَرِّينَ، رَحْمَانَ
الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَرَحِيمَهُمَا، أَنْتَ رَحْمَانِي فَارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ফা-রিজাল হাম্মি। কা-শিফাল গম্মি। মুজীবা দা’ওয়াতিল মুদতাররীন। রাহমা-নাদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি ওয়া রহীমাহুমা। আনতা রহমানী, ফারহামনী রহমাতান্ তুগনীনী বিহা আন রহমাতি মান সিওয়াক।
অনুবাদ: হে আল্লাহ, আপনি পেরেশানি দুর করার মালিক, দুশ্চিন্তা লাঘবকারী, দুর্দশাগ্রস্ত, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সকল নিরুপায় মানুষের দোয়া ও আহবানে সাড়া দানকারী, দুনিয়া এবং আখিরাতে আপনি রহমান, উভয় জগতে আপনি রাহিম, আপনি আমাকে দয়া করে দিন। আমাকে এমন অনুগ্রহ দ্বারা দয়া করুন যা আপনার রহমত ছাড়া অন্য সবার অনুগ্রহ থেকে আমাকে সম্পুর্ণ অমুখাপেক্ষী করে দিবে। (তাবরানী, কিতাবুদ দুআ- ১০৪১। মুসতাদরাকে হাকেম ১৮৯৮)
পাপ্র/আইয়ূবী