
শাহরিয়া হৃদয়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল কর্মী শ্রাবনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
সে পাকুন্দিয়া পৌর ছাত্রদলের সদস্য ও ৮নং ওয়ার্ডের টান লক্ষিয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে।
বিষয়টি পাকুন্দিয়া প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন।
তিনি জানান, সকালে সৈয়দগাঁও এলাকায় মিছিল বের করার সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে বিএনপির নেতার্মীদের। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয় শ্রাবন। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে নূরে-আলম ও আব্দুর রহিম-কে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় পাকুন্দিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পৌর সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকা থেকে একটি মিছিল পাকুন্দিয়া বাজারের পাট মহলের দিকে রওনা দিলে হাঁপানিয়ার ব্রাক অফিসের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘটিত হলে আবারও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল পাকুন্দিয়া বাজারের ঈসাখাঁ রোড দিয়ে পাট মহলের দিকে প্রবেশ করতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে উপজেলা বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ও তার অনুসারীরা এসে যুক্ত হয় মাসুদের সঙ্গে। তারপর সংঘর্ষ তীব্র হয়। এ সংঘর্ষ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। অন্যদিকে সৈয়দ গাঁও চৌরাস্তা থেকে আদু পাগলা মাজার পর্যন্ত থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট জালাল উদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিশ জনের বেশি আটক হয়েছে। এখনও সংঘর্ষ ও গ্রেফতার চলছে বলে তিনি দাবি করেন।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে আসলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
পাপ্র/সুআআ