স্টাফ রিপোর্টারঃ কিশোরগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তাসলিমা আক্তার মিতু কে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ও তার বিদেশফেরত ছোট ভাই ফরিদ উভয়পিতা: মৃত আঃ খালেক সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। নারী সাংবাদিকের মায়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে বাড়ির রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে বন্ধ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে গতকাল বিকালে সাংবাদিকের বাড়ির রাস্তায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই হুমকির শিকার হন তিনি এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।ডায়েরি নং ৭৪ ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ২সেপ্টেম্বর বিকালে রাস্তায় ঘর নির্মাণে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকায় চলাচলের রাস্তায় ঘর নির্মাণ করার জন্য নিষেধ করেন।দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তায় বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়ে সেই রাস্তার জায়গা আলমগীর হোসেন নিজের জায়গা বলে দাবি করে।পুলিশ চলে যাওয়ার পর তারা সাংবাদিকের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকার এক পর্যায়ে প্রতিবাদ করলে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়৷পাকুন্দিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের গেইটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে পূনরায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি দেখে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা বন্ধের কারণে বাড়িতে যাওয়া যায় না বলে সুফিয়া খাতুন তার মেয়ে তাসলিমা আক্তার মিতু ও মেয়ের জামাই মোঃ সজিব সহ কিশোরগঞ্জ ভাড়া বাসায় থাকেন।বাড়িতে আসলে আলমগীর হোসেন বাড়ির মহিলাদেরকে উস্কানি দিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করে। এদিকে বিগত ২০২১ সালে আগষ্টে নারী সাংবাদিক তাসলিমা আক্তার মিতু বাদী হয়ে নারী ও শিশু অপরাধ ট্রাইবুনালে আলমগীর হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা এখনো চলমান রয়েছে।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন নারী সাংবাদিকের অভিযোগ পেয়েছি এবং তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করছেন।
পাপ্র/সুআআ