বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাবার্ষিকীর ২৩ জুন,১৯৯৫ সালের কিছু স্মৃতি-
Update : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২, ১০:৫০ অপরাহ্ণ

আজ ২৩ জুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী,আজকের এই দিনে ১৯৯৫ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ডাকে ঠিক সংসদ ভবনের সামনে তথায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনপি-জামাত সরকার পতনের দাবিতে মহাসমাবেশ ছিলো। আওয়ামীলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক মরহুম রাস্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান আর কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান মহামান্য রাস্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ এডভোকেট। আমার মনে আছে, আমাদের পাকুন্দিয়া থেকে তৎকালীন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম একেএম শামছুল হক গোলাপ মিঞার নেতৃত্বে বাসে ঢাকায় সরকার বিরোধী মহাসমাবেশে যোগ দেই,আনুমানিক ২.০০ টায় পৌঁছি সমাবেশস্থলে কিন্তু ততক্ষণে কেহ আসেননি আমরাই মাঠে ছিলাম,হঠাৎ জেলার সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে মানিক মিয়া এভিনিউ এর অর্থাৎ ঠিক আড়ংয়ের সামনে থেকে বিশাল মিছিল,দৃশ্যমান হলো ঢাকার বুকে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিরাট মিছিল,মিছিল খামারবাড়ি হয়ে আবার মঞ্চের সামনে আবার পশ্চিমে হয়ে মঞ্চের খুব কাছে আমরা,এরপর একে একে আসতে থাকে বিভিন্ন জেলা,ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ ও অংগসংঠনের মিছিল।

সেইদিন অনেক বৃষ্টি ছিল,মঞ্চের সামনে মাটিতে বসেছিলাম আমরা, সাদা প্যান্টের যে কি অবস্থা? আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসিমের বাঘের গর্জনের মতো হুংকার দিয়ে বক্তব্য আর সাজেদা চৌধুরীর মতো নেতার বক্তব্য আমাদেরকে বৃষ্টির কথা ভুলে দিয়েছিল।পাকুন্দিয়া থেকে শতাধিক নেতাকর্মী আমরা এই উত্তাল সমাবেশে দাবী একটাই নির্দলীয় নিরেপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন,এর মাঝে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন হতে কম করে হলেও ৩০/৩৫ জন। আমার ঠিক মনে আছে আমি,সরকার শামীম চেয়ারম্যান,বাচ্চু চেয়ারম্যান,উপজেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মরহুম শামছুল মুসলিমিন মতি কাকা ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইলিয়াস উদ্দিন লালু কাকা, ভিপি হাকিম ভাই আমরা একসাথে ছিলাম,সমাবেশ সফল হলো,নেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হলো দিনের আলোয়।

আমাদের যাবার পালা,আমাদের সামনেই জিল্লুর রহমান সাহেব আজকের মহামান্য রাস্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ও গোলাপ মিয়া সাহেবের সামনে আমাদেরকে বললেন, তোমরা ভৈরব চলে যাও,সেখানে আমি বলে দিয়েছি তোমাদের কিছু নাস্তা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
বাস চলছে গুলিস্তান হয়ে কাঁচপুর -নরসিংদী হয়ে ভৈরব, ইটের ছলিং বা ইটের হেয়ারিংবন্ড রাস্তা,রাত ১১ টায় ভৈরব আসলাম, কিছু চা নাস্তার পর আবার বাসে বিন্নাটি হয়ে পাকুন্দিয়া।

রাত আনুমানিক ৪ টা বেশ অন্ধকার,পাকুন্দিয়া হতে হেঁটে তারাকান্দি বাজার হয়ে এই আমরা ছয়জন চলছি চরটেকীর নিজ নিজ বাড়িতে।তারাকান্দি বাজার থেকে নামার পরে ব্রিজ,আমি কিছুটা ঘুম ঘুম অবস্থায় হাঁটছি, ব্রীজের উপর উঠতেই সামনে চার পাঁচজন দেখি মাথা নিচু করে বসা,আমার সাথের অন্যরা ইতিমধ্যে ব্রিজ ক্রস করে পশ্চিম পাশে,আমি থতমত খেয়ে বল্লাম কে? কে? সাথে সাথেই মরহুম চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব উদ্দিন কাকা বলে উঠল” মানছিলামত” এবং অন্যরা অর্থাৎ মরহুম আব্দুল হাই স্যার,মুক্তু ভাই সহ সবাই একবাক্যে বার বার স্লোগান “মানছিলাম -ত” ” মানছিলাম-ত” ” মানছিলাম-ত” লালু কাকা সেই কি বকাঝকা,তুই দেখসনাই ভাইছারা বইয়া রইছে এখানে।

এই দিনটির কথা আজ মনে পরে গেল,আজ আর সেই নিঃস্বার্থের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মূল্য নেই,টাকা পেশি শক্তি আর হাইব্রিডদের নিকট সবাই জিম্মি।
স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের আজ ৭৩তম জন্মদিন, জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

সাবেক ছাত্রনেতা ও শিক্ষাবীদ, পাকুন্দিয়া 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ