সারাদেশের ন্যায় এবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় প্রথমবারের মতো বেগুনি পাতার ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এগারসিন্দুর ইউনিয়নের কয়েকজন চাষি এক একর জমিতে প্রথমবারের মতো এ জাতের ধানের চাষ করেছেন।
রংয়ের ভিন্নতা ও প্রখরতা থাকায় দূর থেকে সহজেই দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। নতুন জাতের এ ধান দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে কৃষকেরা দেখতে আসছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশে গত বছর বেগুনি পাতার এ জাতের ধান চাষ শুরু হয়। অন্যান্য ধানের তুলনায় এ ধানে রোগ বালাই ও পোকার আক্রমণ কম। পানি লাগে কম। খরচও হয় কম। সুঘ্রাণি এ ধান ক্ষেতে সুস্বাদু। তাছাড়া রংয়ের ভিন্নতা ও ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে এ জাতের ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের কয়েকজন চাষি এ জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
এগারসিন্দুর গ্রামের ধান চাষি মো. আলম মিয়া। তিনি প্রথমবারের মতো আধা বিঘা জমিতে বেগুনি পাতার ধান চাষ করেছেন। এতে তিনি ফলন পেয়েছেন প্রায় ১০মণ। অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে এ ধানের দাম মণ প্রতি ১০০-১৫০টাকা বেশি। তিনি এ জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করেছেন। যা কেজি প্রতি দর ২০০টাকা। এতে তিনি লাভবান হবেন বলে জানান।
চরখামা গ্রামের কৃষক আসাদ মিয়াও প্রথমবারের মতো ২৪ শতক জমিতে এ জাতের ধান চাষ করেছেন। রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এবং পানি কম লাগায় খরচ কম হয়েছে। এতে তিনি এ ধান চাষে লাভবান হবে বলে আশা করছেন।
এগারসিন্দুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এ জাতের ধানের পূর্ব ইতিহাস খুব একটা জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, বেগুনি পাতার ধান ব্রি উদ্ভাবিত ব্রি ধান-২৮ জাতের মতই। জীবনকাল ব্রি ধান-২৮ এর চেয়ে ৮-৯দিন বেশি। গড়ে বিঘা প্রতি ১৮মণ ধান পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান আলামিন বলেন, রংয়ের ভিন্নতা থাকায় এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তবে কম খরচে ভাল ফলন পাওয়া যায় এ জাতের ধান চাষে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।