কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামত করেছেন স্থানীয় যুবকেরা।
উপজেলার মির্জাপুর-তারাকান্দি সড়কটির কাহেৎধান্দুল ব্রিজের দুই পাশের অংশ ধসে গিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিনেও ধসে পড়া অংশটি মেরামত না করায় দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করছিল পথচারী ও এলাকাবাসী। সড়কটির ধসে পড়া অংশটি মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অথবা এলাকার ধনাঢ্য কোনো ব্যক্তি এগিয়ে আসেনি। অবশেষে এলাকার কিছু যুবক মিলে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকালে ধসে পড়া অংশটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সবজিখ্যাত চরাঞ্চলের লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। ওই রাস্তা দিয়ে কৃষি কাজের সকল যানবাহন চলাচল করে।২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি চার কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে এলজিইডি। গত ছয় মাস ধরে ওই সড়কের কাহেৎধান্দুল এলাকায় নির্মিত ব্রিজের দুই পাশের অংশ ধসে যায়। ধসে পড়া অংশটি মেরামত না করায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল পথচারী ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী এ নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। অবশেষে সড়কের পাশের বাড়ির বাসিন্দা ও চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. হিমেল মিয়ার নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম, মুন্না, ইয়াছিন, রনি, সাব্বির, মাহফুজ, জোনায়েদ, গোলাপ, আলম, সামাদ, মোস্তাকিম, আজিজুল ও তার সহপাঠীরা মিলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বালি, ইট ও সুড়কি সংগ্রহ করে বস্তায় ভর্তি করে ধসে যাওয়া অংশে ফেলে রাস্তাটি মেরামত করে দেয়।
এ বিষয়ে চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. হিমেল মিয়া বলেন, সড়কটির ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছিল পথচারী ও এলাকাবাসী। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পায়নি। তাই বিবেকের তাড়নায় এলাকার যুবকদের নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটির ধসে যাওয়া অংশটি মেরামত করে দেই। তবে তিনি অতি দ্রুত স্থায়ী মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।