সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দায়িত্বপালনে বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছেন পাকুন্দিয়ার কৃতি সন্তান আশরাফুল আলম
/ ১৯০ Time View
Update : বুধবার, ৬ মে, ২০২০, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

আকিব হৃদয় :

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী মনি আক্তার খাতুন (১১) এর ধর্ষণ এবং হত্যার সাথে জড়িত থাকার একমাত্র আসামী সুলতান মিয়া(২৬) কে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ।

আজ ৫ই মে বারহাট্টা থানা এলাকা থেকে আসামী সুলতান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী সুলতান মিয়া নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার মান্দারতলা এলাকার মৃত আ: রশিদের ছেলে।

গ্রেফতার এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আশরাফুল আলম পিপিএম(সেবা)।

জানা যায়, ১লা মে পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রীর বাবা আসামী অজ্ঞাত রেখে বারহাট্টা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ৯(২)অনুসারে মামলা দায়ের করে। মামলা হলে তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ, নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে উঠে পরে লেগে যায় ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে। অপরদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার। তিনি দ্রুত আসামী যেই হোক না কেন তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এদিকে মামলার রহস্য উদ্বঘাটনে দেখা দিল বিপত্তি,কোন ক্লু ছিলনা।

ঘটনা জানা জানি হলে, পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃতী সন্তান, নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আশরাফুল আলম পিপিএম সেবা নিজে বারহাট্টা উপজেলায় উপস্থিত হোন। তদন্ত করতে থাকেন রহস্য উদঘাটন ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার সাথে জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে থাকেন। সর্বোপরি ৪ রাত না ঘুমিয়ে নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে তথ্য প্রযুক্তি এবং নিজের চিন্তা ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শেষমেষ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হোন তিনি। পরে পলাতক আসামী সুলতান মিয়াকে কৌশলে ঢাকা থেকে এনে তাকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ হেফাজতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সুলতান মিয়া ওই ছাত্রীকে হত্যা এবং ধর্ষনের কথা স্বীকার করেন।এবং বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

৪ দিনেই ক্লুবিহীন হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আলোচিত আসামী সুলতান মিয়াকে গ্রেফতার করাতে এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানায় বারহাট্টা এলাকাবাসী, এবং নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমকে ধন্যবাদ জানান তারা । সেই সাথে আসামী সুলতান মিয়ার ফাঁসির দাবি জানান তারা।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃতি সন্তান আশরাফুল আলম এর আগেও নেত্রকোনা জেলায় ক্লুবিহীন অনেক মামলার রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় গত ৩০ শে এপ্রিল সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় আসামী সুলতান মিয়া মনি আক্তারকে কৌশলে তার নিজের ঘরে নিয়ে যায় ,আসামী সুলতান মিয়ার সতত্রীর অনুপস্থিতে প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং পরে গলা টিপে হত্যা করে।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) আশরাফুল আলম পিপিএম(সেবা) সাংবাদিকদের বলেন,আসামী যত শক্তিশালী হউক না কেন আইনের ফাঁক গলিয়ে কেউ রেহায় পাবে না।আসামী সুলতান মিয়ার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড হয়,এবং সুলতান মিয়ার মত এই রকম পার্শবিক নির্যাতন যেন আর কেউ কাউকে না করতে পারে,এই জন্য সবাইকে সজাগ এবং সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ