
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় হঠাৎ করে উল্লম্ফন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৯০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত হওয়া রোগী। সবশেষে কোভিড-১৯ বা করোনায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে? উন্নতি না অবনতি? আক্রান্ত কতজন? পাকুন্দিয়াবাসীর মনে এখন এ জাতীয় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
পাকুন্দিয়ার সার্বিক পরিস্থিতিতে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তারের সাথে কথা বলে পাকুন্দিয়া প্রতিদিন টিম।
তিনি জানান, ‘পাকুন্দিয়া উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১৫ জনের, এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪জন। তারা হলেন উপজেলার হোসেন্দী চরপাড়া গ্রামের আলম মিয়া, তার শ্বশুর চরতেরটেকিয়া গ্রামের উছমান মিয়া ও তার স্ত্রী শামিমা আক্তার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট এটিএম নজরুল ইসলাম।
এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন মোট ২জন। তারা হলেন আলম মিয়া ও তার শ্বশুর উছমান মিয়া। তারা করোনা জয় করে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে সন্তোষের সংবাদ হলো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত পাকুন্দিয়ায় কেউ মারা যাননি।’
এছাড়াও সীমিত পরিসরে দোকানপাট-শপিং মল ও শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব মসজিদ খুলার সরকারি সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করেন ডা. জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার।
তিনি বলেন ‘এক্ষেত্রে আন্ত-উপজেলা যোগাযোগ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট, শপিং মলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। সাথে সাথে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতে জনগণকে নিজ নিজ স্থানে থাকতে হবে এবং আন্ত-জেলা ও উপজেলা/বাড়িতে যাওয়া থেকে নিবৃত্ত করতে হবে।’