কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত করলেও তা কাগজে কলমেই রয়েছে সীমাবদ্ধ। চিকিৎসক, কর্মচারী ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট ও প্রকট আকার ধারণ করেছে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অ্যানেসথেসিওলজিস্ট, সার্জারী ডাক্তার
না থাকায় প্রায় ৯ বছর ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। বিদ্যুতের অভাবে
চলছে না একমাত্র এক্সরে মেশিনটি। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
সরজমিনে হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে ২০১১ সালে
উন্নত যন্ত্রপাতি দিয়ে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হলেও সার্জন,
অ্যানেসথেসিওলজিস্ট না থাকায় আজও চালু হয়নি (ওটি)। ফলে গাইনী কন্সসালটেন্ট
থাকলেও বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। অন্যদিকে টেকনোলজিষ্ট থাকলেও নিরবিচ্ছিন্ন-সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও জেনারেটর না থাকায় লো ভোল্টেজে চলছে না এক্সরে মেশিন। সরজমিনে দেখা যায়, বছরের পর বছর অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় অটোক্লাব মেশিন, এ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ডায়াথার্মী মেশিন, ডেলিবারী টেবিল,
ওটি টেবিল, ওটি লাইট, সার্জারী যন্ত্রপাতি অযত্নে, ধুলো-বালি মরিচা পরে
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের হাসপাতালের সামনে গড়ে উঠা
প্রাইভেট ক্লিনিক কিংবা জেলা সদর হাসপাতাল গুলোতে দৌঁড়াতে হচ্ছে। এতে চরম ও অসহনীয় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নিম্ন আয়ে খেটে খাওয়া রোগী ও তাঁদের পরিবারবর্গ । এ বিষয়ে মুঠোফোনে
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন শাহানাজ – দৈনিক আজকের বসুন্ধরা কে জানান, আমাদের সদ ইচ্ছা, আন্তরিকতা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও
সার্জন, এ্যানেসথেসিওলোজিস্ট দক্ষ ডাক্তারের অভাবে অপারেশন থিয়েটার ( ওটি)
চালু করতে পারছি না। অতি দ্রুত (ওটি) চালু ও জনবল সংকটের বিষয়টি উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং যোগাযোগ রক্ষা করে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে সেবার মান আরও ভাল করা যায়। পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবার মান পর্যবেক্ষনে গিয়ে সরজমিনে কথা হয় – সৈয়দুল ইসলাম( ৬৫),পিতা মৃতঃ ইমামুদ্দীন, সাং- খয়েরখালী, পাকুন্দিয়া – কিশোরগঞ্জ, তিনি ১০ দিন আগে শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয় এছাড়াও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আবদুল গফুর ( ৭২) সাং- ঘাগরা ১২ দিন আগে ভর্তি হয়। তাদের দুজনেরই এখনও শ্বাসকষ্ঠের কোনরুপ উন্নতি হয়নি। মহিলা ওয়ার্ডে তাছলিমা (৪০) নামে নারী পায়ে উন্ড ইনফেকশন নিয়ে প্রায় ১ বছর যাবত হাসপাতালে ভর্তি, তাদের সকলেরই একটি অভিযোগ খাবারের মান সঠিক থাকলেও বাতরুম ও বেডের নোংরা অবস্থা, ওয়ার্ডবয় ও কর্তব্যরত নার্স কে বলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।