বিশেষ সংবাদদাতা ঃ ভারতের মাওলানা সাদ মতবাদ পন্থী অনুসারীদের জেলা ইজতিমা বন্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদে উওাল হয়ে উঠেছে পাকুন্দিয়া ও কিশোরগঞ্জ । সোমবার ২৫ ফেব্রুয়ারী সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি হয়েছে। এতে হাজারো তৌহিদী জনতা তাবলীগের সাথী আলেম ওলামা অংশ নেন। একি সময়ে জেলা সদরেও আলেম ওলামা ও তাবলীগের সাথীদেরও বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি হয়েছে। এসব কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে বিতর্কিত সাদ পন্থীদের কথিত ইজতেমা বন্ধ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়৷ এসব কর্মসূচি থেকে বক্তারা বলেন, আমরা আসা করছি প্রশাসন এই কথিত ইজতেমা বন্ধ ঘোষণা করবে। এর পরেও কোন রকম ইজতেমা বা জমায়েতের চেষ্টা পরিকল্পনা করা হলে, জেলার সকল উপজেলা এক হয়ে সম্মিলিত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুশিয়ারী দেওয়া হয়। জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে আগামী ৫,৬ ও ৭ মার্চ এই জমায়েতের ডাক দিয়েছে মাওলানা সাদ পন্থী অনুসারীরা । এ খবরে বাংলাদেশ আলমী শুরার তাবলীগের সাথী, কিশোরগঞ্জের সকল আলেম ওলামা ও সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাবলীগের চলমান বিরোধের কারণে বিশ্ব ইজতেমার পর জেলা ওয়ারী কোন বিচ্ছিন্ন ইজতেমা হবেনা। উভয় পক্ষের এমন সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু সাদ মতবাদ পন্থীরা অমান্য করে কথিত জেলা মজমা করার চেষ্টা শুরু করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলাটে পরিবেশ ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা তাবলীগের সাথী ও আলেম ওলামা সমাজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি ও বিভিন্ন ভাবে আবেদন নিবেদন করে বন্ধের দাবী জানানো হয়ে আসছে । অবিলম্বে এই মজমা বন্ধ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা ও পাকুন্দিয়ার সকল আলেম ওলামা একমত। এর পরেও কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তির সহায়তায় মজমা করার পায়তারার চেষ্টায় তীব্র চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে । বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের আলমী শুরার অনুসারী সাথীরা জানান, সাদ পন্থীরা আলেম ওলামা ও মাদ্রাসা বিরোধী। সাধারণ মানুষ তাদের সাথে নেই৷ গুটিকয়েক লোকজন মুলধারা তাবলীগের কাজ বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিত ভাবে পরিবেশ ঘোলাটে করছে। এদিকে সাদ পন্থীদের ইজতেমা বন্ধ করা না হলে, পাল্টাপাল্টি অবস্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আসংকা দেখছে সচেতন মহল। এর আগে ৫,৬,৭ই মার্চ মাওলানা সাদ পন্থীদের জেলা ইজতেমার সফল করতে উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নে মির্জাপুর বালুরঘাট স্হানে ইজতেমার ১ম খুটি স্হাপন কাজ শুরু হয়েছিল ।