কিশোরগঞ্জের সর্ববৃহৎ দুুইদিন ব্যাপী বার্ষিক ইসলাহী ও তালীমী জলসা (১৪ ফেব্রুয়ারি) রবিবার বাদ আসর থেকে শুরু হচ্ছে । ইতোমধ্যে জলসার যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৬২ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে উপমহাদেশর প্রক্ষাত আলেমে-দ্বীন পীরে কামেল আলহাজ্ব হজরত মাওলানা আব্দুল হালিম হুসানী (রহ.) মাদ্রাসাটির গোড়াপত্তন করেন।
মাদ্রাসাটি দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। মাদ্রাসার নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির হিসেবে প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের প্রথম রবি ও সোমবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক বার্ষিক ইসলাহী ও তালীমী জলসা এবং মঙ্গলবার সকালে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ৫৩তম বার্ষিক ইসলাহী ও তালীমী জলসা যা মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। জলসায় দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ওলামায়েকেরাম ওয়াজ-নসিহত পেশ করেন।
দুই দিনব্যাপী জলসায় জিকির-আজকার ও মুসল্লিদের ইবাদত-বন্দেগিতে এলাকা মুখরিত থাকবে। জলসায় আখিরী মোনাজাত পরিচালনা করিবেন চট্রগ্রাম হাটহাজারীর পীরে কামেল আলহাজ হজরত মাও. মুফতি জসিম উদ্দিন। জলসায় প্রতিবছরের মতো এবারও দাওরায়ে হাদিস, ইফতা, তাফসির, হিফজ ও ক্বেরাত বিভাগ সমাপ্তকারী উত্তীর্ণ ছাত্রদের সম্মানসূচক পাগড়ি ও সনদ প্রদান করা হবে। জলসায় সর্বস্তরের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, আলেম-উলামারা অংশ করেন।