কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এ বছর চলতি মৌসুমে দশ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো ধান এর চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখতে প্রত্যেক কৃষক পরিবার নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষক হিমশীতল ঠান্ডাকে জয় করে ভোর থেকে আপন মনে রোপণ করে চলছে চারা ধানের গুচ্ছ।
প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদ দমাতে পারেনি তাদের। জমি প্রস্তুত, পরিচর্যা এবং বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে। উন্নত প্রযুক্তিতে ক্ষেতে সুতা টেনে সারিবদ্ধ লাইনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের চারা রোপন করছে কৃষক। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ইরি-বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় দশ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে উফশী ৬৩৪০, স্থানীয় ৭০, হাইব্রিড ৩৮৬০ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। চন্ডিপাশা কোদালিয়ার এক কৃষক আ: হাসিম জানায় ২ একর ১০ শতাংশ জমিতে বোরো চাষ করেন কিন্তু কৃষি অফিস থেকে ব্রক্ল সুপার আমার নিকট থেকে কাগজপত্র নিয়ে কোন করোনা খালিন প্রনোধনা পায়নি ।
পাকুন্দিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের পৌর সভা সহ বিভিন্ন বাজারে বীজ ডিলার, বিসিআইসি সার ডিলার, বিএডিসি সার ডিলার ও খুচরা সার ডিলার এগুলো সাইনবোর্ডসর্বস্ব ও সিন্ডিকেট ব্যবসায় পরিণত হওয়ার ফলে আমরা হচ্ছি প্রতারিত। কৃষি বিভাগের কিছু কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির কারনে সার-বীজ ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে এ ব্যবসায় কোনো নিয়মনীতি নেই বললেই চলে। পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল হাসান আলামিন জানান, প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে এ মওসুমে ইরি-বোরো ফসলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।