
‘মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা হল রুমে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদ হাসান, সহকারী কমিশনার ভূমি একেএম লুৎফর রহমান, উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: রৌশন করিম, সুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ টিটু, হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আকন্দ হামদু। এতে অন্যদের মধ্যে উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি মো. বাবুল আহমেদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মেজবাহ উদ্দিন, চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামস উদ্দিন, পাকুন্দিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মঞ্জুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আফসার আশরাফী, কোষাধ্যক্ষ মো. স্বপন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হুদা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামীমা বেগম বিউটি, সদস্য হাকীম মো. রফিকুল ইসলাম, মো. এমদাদুর রহমান, মো. আতাউর রহমান সোহাগ ও আগুন আমিন এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, সদস্য মহিবুল্লাহ বাচ্চন ও মো. তরীকুল হাসান শাহীন ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৫১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। তারমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৫টি পরিবারের কাছে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকী পরিবারে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হবে। আজ (শনিবার, ২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে মোট ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি, গৃহ প্রদানের সনদ, ডিসিআর কপি ও ঘরের চাবি এবং ৩ হাজার ৭১৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ব্যারাক হাউজের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি, গৃহ প্রদানের সনদ, ডিসিআর কপি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ঘরসমূহের বিদ্যুৎ ও খাবার পানীয়ের জন্য টিউবওয়েল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদিত প্রাক্কলন ও ডিজাইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ গুণগতমান বজায় রেখে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ৪১টি ঘর নির্মাণ করে গৃহহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়া পৌর এলাকায় ১৪টি, হোসেন্দী ইউনিয়নে ৫টি, নারান্দী ইউনিয়নে ৫টি ও সুখিয়া ইউনিয়নে ১৭টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা প্রতিটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। আর ৪১টি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে ৭০ লাখ ১১ হাজার টাকা। ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০টি ঘরের বরাদ্দ রয়েছে।