বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাইক্রো বিশ্বজয় (ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত গল্প)
/ ৩৬০ Time View
Update : বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
অনয় দাসের গল্প

ব্যাখ্যা পরেও দেওয়া যাবে। আগে আমার অবস্থানটা দিয়ে নেই।

২০১৯ সালের কথা। ৬টা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টা ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও কোথাও চান্স না পাওয়া আমি। আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না, আমি আমার পরিবারের জন্য বোঝা, আমার পরিবারকে তাদের কষ্টের কোনো মূল্যই দিতে পারলাম না। এসব দিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি কখন যে অন্যমনস্ক হয়ে গেলাম বুঝতেই পারলাম না।

রবি আমার পাশেই ছিলো। রবি আমাকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি বেশ মজায় পাচ্ছি। কেউ আমার জন্য এতো ভাবছে এটা দেখতেও ভালে লাগছে৷ রবি হলো আমার সবচে’ কাছের বন্ধু। হঠাৎ করেই রবি বলে উঠলো,“কিরে অভি, তোর তো আরেকটা সুযোগ আছে। এখনই কেনো এভাবে ভেঙে পরছিস?”
‘আর তো সুযোগ নাই। আর কই পরীক্ষা দিবো? ফর্মই তো তোলা হয় নাই।’
‘আরে তুই না জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় -এর বিজ্ঞান ইউনিটের ফর্ম কিনেছিলি?’
আমি রীতিমত অবাক। কারণ ,আমার মনেই ছিলো না। কোথাও চান্স না পেয়ে আমি অনেকটা ফ্রাস্ট্রেশনে পরে গিয়েছিলাম। কিন্তু রবি আমাকে যথা সময়ে ভালো একটা ইনফরমেশন মনে করিয়ে দিলো।
‘আরে রবি,থ্যংকস ইয়ার। তুই অনেক ভালো একটা কাজ করেছিস। আমার তো মনেই ছিলো না।’
‘তুই সবকিছু ঘুছিয়ে এখানে পরীক্ষাটা দিয়েই আয়। উপরওয়ালার উপর ভরসা রাখ এখানে হয়ে যাবে।’
‘সেটা জানি না। এতো গুলো পরীক্ষা দিয়েও হয় নাই, এই একটাই কি হবে নাকি?’
‘আরে বোকা,এখনই ভেঙে পড়লে হবে? শেষ চেষ্টাটা তো করতেই হবে।’

পরীক্ষার আরো ১০ দিনের মতো আছে। এর মধ্যে পরীক্ষাটা কার কাছে থেকে দিবো সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তখনই মনে হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এলাকার এক বড় ভাই পড়ে। ভাইয়ের নাম বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ ভাইকে ফেইসবুকে নক করলাম।
‘আসসালামু আলাইকুম, বিদ্যুৎ ভাই। কেমন আছেন?’
‘ওয়ালাইকুম সালাম। আলহামদুলিল্লাহ, ভাই। তুমি কেমন আছো,অভি?’
‘ভালো আছি,ভাই। আপনে কি ভার্সিটিতে আছেন?’
‘হ্যাঁ। কেনো?’
‘আসলে আমি পরীক্ষা দিবো এখন একটা থাকার জায়গা লাগে।’
‘আরে, তুমি চিন্তা করছো কেনো? আমি আছি তো। আমার সাথে থাকবা।’
‘ধন্যবাদ, বিদ্যুৎ ভাই। আপনে আমাকে অনেক বড় একটা চিন্তা থেকে বাঁচালেন।‘
‘আচ্ছা,তাহলে দেখা হচ্ছে।’
’জ্বি।‘

রবি আমাকে একদিন বলছিলো তোর সাথে কাউকে নিয়ে যা। কিন্তু যাওয়ার মতো কেউ ছিলো না। তাই একটু চিন্তা হচ্ছিলো। হঠাৎ করে একদিন একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো। আমি কলটা ধরতেই একটা মেয়ের কন্ঠ। কন্ঠটা চমৎকার সুন্দর ছিলো। কন্ঠটা শুনে মনে হলো, মেয়েটা অল্প বয়সের। ১৮-১৯ বছরের মতো বয়স হতে পারে।
‘হ্যালো।’
‘জ্বি, কে বলছেন?’
‘আমি মিষ্টু। আমি কি অভির সাথে কথা বলছি।’
‘হ্যাঁ। আমি অভি। কিন্তু আপনে কোন মিষ্টু?’
‘আমরা এক স্কুলে পড়েছিলাম।’
ও!! তুমি সেই মিষ্টু!! তোমাকে তো আমি অনেক খুঁজেছিলাম। । কিন্তু, তোমাকে পায় নাই। যাইহোক, তুমি কেমন আছো? আর, এতোদিন পর কি মনে করে??
‘আমি ভালো আছি। তুমি কেমন আছো? আসলে, আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিবো। শুনলাম তুমিও দিবা, এইদিকে আমি একা একা যাবো একটু সমস্যা। তাই বলছিলাম, যদি আমরা একসাথে যাই তাহলে কি তোমার সমস্যা হবে?’
আমি এই কথা শুনে মনে মনে খুশিই হয়েছি। দিল মে লাড্ডু ফুটা। তাও নিজের একটা ওজন আছে না?
‘না,তেমন সমস্যা হবে না(একটু ভাব নিয়ে বললাম)।’
‘আচ্ছা,তাহলে পরীক্ষার আগের দিন দুপুরে আমরা রওনা হবো।’
‘ঠিক আছে।’

পরীক্ষার আগের দিন সকালে ফোনের কাঁপা-কাঁপিতে ঘুম থেকে উঠলাম। উঠেই ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি মিষ্টুর মেসেজ। আমি তো সেই খুশি কারণ আগে কখনো এতো সকালে কোনো মেয়ের মেসেজ পায়নি তাই হয়তো এতো ভালো লাগছে। মেসেজ বললো,
‘সুপ্রভাত, মিস্টার অভি।‘
‘আজ একটু কমই ঘুমান সাহেব। আজ যে অনেক কাজ। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।’
আমি যেই মেসেজের রিপ্লাই দিবো দেখি ফোনে টাকা নেই। কিন্তু ওকে রিপ্লাই দেওয়াটাও খুব দরকার। কারণ আমার ভয় হচ্ছে রিপ্লাই না পেয়ে যদি আমার সাথে যাওয়া বাদ দিয়ে দেয়! কোনো উপায় না পেয়ে তাড়াতাড়ি করে মায়ের ফোন দিয়ে মেসেজ করলাম।
সুপ্রভাত, মিষ্টু।’
‘আমি ঘুম থেকে উঠেছি। তুমি চিন্তা করো না। ঠিক ১২ টায় তুমি সিএনজি স্টেশনে চলে আসবা।’
‘তুমি এই নাম্বারে মেসেজ দিও না, এটা মায়ের নাম্বার।’

তারপর সবকিছু গুছিয়ে আমি একটু আগেই সিএনজি স্টেশন পৌঁছে গেলাম এই ভেবে যে যদি কোনো ভাবে দেরি হয়ে যায় তাহলে আমাকে নিয়ে খুব বাজে ধারনা হবে তার। ও আসার আগ পর্যন্ত ওকে নিয়ে অনেক আবিজাবি ভাবছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম।
১২ টা বেজে ২০ মিনিট হয়ে গেলো এখনো সে আসলো না। তাই ফোন করলাম….
‘হ্যালো,মিষ্টু। আর কতক্ষণ লাগবে তোমার?’
‘সরি,অভি। আমি রাস্তায় আছি আর ৫ মিনিট লাগবে। আর একটু অপেক্ষা করো প্লিজ।’
‘আচ্ছা,সমস্যা নাই। আস্তে আস্তে আসো। আমি আছি।’

অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয় ভেবে অপেক্ষা করছি। অবশেষে সে আসলো। ৫ মিনিটের কথা বলে ৩৫ মিনিট দেরি করে ঠিক ১ টায় আসছে। তখন মনে হচ্ছিলো ১২ টায় বলে ভুল করেছি, ১১ টায় বললে ভালো হতো। তাহলেই ১২ টায় আসতে পারতো। কিন্তু ওকে দেখে আমি অবাক! এমন কিছুর জন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকলে হয়তো এতো শক লাগতো না।
’আমি খুব সরি অভি। আসলে আম্মুকে রেডি করতে গিয়ে এতো দেরি হয়ে গেলো।’
’আসসালামু আলাইকুম, আন্টি। ভালো আছেন?’
‘হে বাবা,ভালো আছি। তুমি ভালো আছো?’
‘জ্বি, আমিও ভালো (মুখে হাসি কিন্তু মনে মনে কাবাব মে হাড্ডি)।’
বুঝতে আর বাকি রইলো না যে সারাটা পথ দুইজন না তিনজন যেতে হবে।
ভার্সিটি যেতে হলে একবার গফরগাঁও এসে গাড়ি বদলাতে হয় তারপর আবার ভালুকা এসে। গফরগাঁও যাওয়ার জন্য সিএনজি-তে উঠলাম। গাড়ির পিছনের সিটে বসলাম। আমার আর মিষ্টুর মাঝখানে তার মা বসলো। অনেকটা পথ পার হয়ে যাওয়ার পর মিষ্টুর মা ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলো,
‘আপনার বাড়ি কোথায়,ভাই?’
‘গফরগাঁও।’
‘আপনে কি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চিনেন?’
‘হ্যাঁ, চিনবো না কেনো? ওখানে মাঝে মাঝেই যাত্রী নিয়ে যায়।’
‘তাহলে তো ভালোই হলো। আমরাও ওখানে যাবো। আপনে যাবেন?’
‘যাবো না কেনো। আপনারা গেলে আমার নিয়ে যেতে কোনো আপত্তি নাই।’
‘ভাড়া কত নিবেন এখন?’
‘সবসময় তো ৭০০ টাকা নিয়েই যায়। তবে,আপনারা ৬০০ দিয়েন।’
‘আন্টি, এতো টাকা লাগে না। ৫০০ টাকা হলেই যথেষ্ট।’
‘ড্রাইভার সাহেব ৫০০ টাকা দিবো। আমাদের পৌঁছে দিয়ে আসেন।’
‘না, আপা। আমার পক্ষে কেনো কারোর পক্ষেই সম্ভব হবে না। আমাকে ক্ষমা করবেন।’
‘আচ্ছা, আপনার না পোষালে আমরা ভেঙে ভেঙে চলে যাবো।’
ড্রাইভারের মুখটা চুপসে গেলো মনে হচ্ছে। সে হয়তো মনে মনে ভাবছে ভাবটা একটু বেশিই নিয়ে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার মত বদলাতে বাধ্য হলো।
‘আচ্ছা, ৫৫০ দিয়েন। এর থেকে কমানো আমার পক্ষে সম্ভব না।’
‘আম্মু, রাজি হয়ে যাও। ৫০ টাকারই তো ব্যাপার।’
মিষ্টুর মুখে এ কথা শুনে আমি বললাম ৫০ টাকা কি টাকা না? ওনি কেনো অন্যায় ভাবে ৫০ টাকা বেশি নিবে?
আন্টি আমার সাথে একমত হলো।
‘আম্মু , আমাদের সন্ধ্যার আগে পৌঁছাতে হবে তাই রাজি হয়ে যাও।’
‘এটাও ঠিক, অভি। তাহলে ৫৫০ টাকায় রাজি হয়ে যায়, কি বলো?’
‘ঠিক আছে,আন্টি।’

সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই এমন অবস্থায় ভার্সিটি পৌঁছালাম৷ আন্টি এতোটাই আন্তরিক আর স্নেহশীল যে আমার কাজ থেকে ভাড়া নিতেই চায় না। কিন্তু আমার তো একটা ওজন আছে তাই বুঝিয়ে সুঝিয়ে কিছুটা টাকা দিলাম। ড্রাইভার ভাড়া পেয়ে বিদায় হলো। মিষ্টুর দূর সম্পর্কের এক বোন পড়ে এই ভার্সিটিতে পড়ে। বোনের কাছেই তারা থাকবে। আর আমি বিদ্যুৎ ভাইয়ের কাছে। তবে মিষ্টু যাওয়ার আগে আমাকে যা বলে গেলো তা দ্বিতীয়বার ভাবতে আমার ইচ্ছে হবে না।
‘অসংখ্য ধন্যবাদ, অভি।’
‘তুমি সাথে থাকায় অনেক শান্তিতে আর নির্ভয়ে এতো দূর আসতে পেরেছি।’
’আমার ভাইয়ের কাজটা তুমি করে তোমার বড় মনের পরিচয় দিয়েছো।’
‘আচ্ছা, তাহলে এখন আসি। পরীক্ষা দিয়ে কল করবো তোমাকে।’
‘পরীক্ষাটা ভালো করে দিও, মিষ্টু। তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো।’
আমার আসলে এসব শোনার পর আর কিছু বলার ছিলো না। তখনই বিদ্যুৎ ভাইয়ের ফোন।
‘অভি, আসছো?’
‘জ্বি, ভাই। আমি ভার্সিটি গেইটে আছি। এখন কি করবো?’
’তুমি দাঁড়াও। আমি আসতেছি।’
‘ওকে।’
বিদ্যুৎ ভাই এসে খুব যত্ন সহকারেই আমাকে তার বাসায় নিয়ে গেলো। বিদ্যুৎ ভাই রাতে ভার্সিটি ঘুরতে নিয়ে গেলো। ভার্সিটির রাতের পরিবেশটা দেখে বেশ অবাকই হলাম। রং বেরং-এর লাইট, বাউল গান, কাওয়ালি সব মিলিয়ে বেশ ভালোই লাগলো। খাওয়া দাওয়া করে তাড়াতাড়ি করে ঘুমাতে গেলাম কারণ কাল পরীক্ষা। একটা ফ্রেশ ঘুম হলে ভালো পরীক্ষা দিতে পারবো।
পরদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। রেডি হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বের হলাম। অনেক কষ্ট করে নিজের সিটটা বের করলাম। তারপর পরীক্ষক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। কিন্তু পরীক্ষকে দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। পরীক্ষক ছিল একজন ম্যাম। ম্যাম যে এতো সুন্দর হয় সেটা জানা ছিলো না। স্কুল কলেজে তো মধ্যবয়েসি ম্যামদেরই দেখে আসছি। আমি তো চোখই ফেরাতে পারছি না। আমার চোখ যেমন আটকে গেছে ওনার দিকে। ওএমআর দেওয়া শুরু করলো। ম্যাম ওএমআর দিচ্ছে……
এই নাও.. এই নাও….সবাই নির্ভূলতার সাথে ওএমআর শিট পূরণ করবা। ভুল হলে জানাবা। নিজেরা পাকামো করতে যেও না।
আমি জেনে বুঝেই একটা ছোট ভুল করলাম কারণ কোনো একটা উপায়ে তো ম্যামের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।
‘ম্যাম, একটা সমস্যা।’
‘কি বলো?’
‘আমার নামটা কি বাংলায় লিখবো নাকি ইংলিশে?’
’তোমার ইচ্ছে।’
‘ধন্যবাদ, ম্যাম।’
ওএমআর দেওয়ার ৪৫ মিনিট পর। ম্যাম আমার কাজ দেখে আমাকে জিজ্ঞেস করলো,
‘কি হলো, এতো তাড়াহুড়ো করছো কেনো?’
ম্যাম, বেশ ভালো কমন পড়েছে, তাই।
‘চান্স পাবে(হাসি মুখে)।’
ম্যামের হাসি দেখে আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি এখানে চান্স হতেই হবে।
‘পরিবেশটা আজ খুব সুন্দর তাই আশা করা যাচ্ছে এখানে হয়ে যাবে।’
পরীক্ষা শেষ করে তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ ভাইয়ের বাসায় আসলাম। কারণ ফোনটা রেখে গিয়েছিলাম। আর এখনই মিষ্টুর ফোন করার কথা। অতি আগ্রহ নিয়ে ফোনটা হাতের কাছেই রাখলাম। আমার ধারনা সে ফোন করে বলবে আমরা একসাথেই ফিরবো। তার একটু পরই ফোন আসলো।
‘অভি,পরীক্ষা কেমন হয়েছে?’
‘বেশ ভালো। তোমার?’
‘ভালো। আর শুনো আমরা আজ এক আত্মীয়ের বাসায় থাকবো। তাই আমরা একসাথে ফিরতে পারবো না।’
কি আর করার। সব ভাবনাই ফেইল করে গেলো। একা একাই বাড়ি ফিরতে হলো। পরীক্ষার কিছুদিন পরই ফলাফল জানালো। আমার পজিশনটা দূরে হলেও শেষ পর্যন্ত চান্স পেয়ে গেলাম।
অনেক কষ্ট, অনেক দৌড়াদৌড়ির পর একটা যায়গাই হলো। বাবা-মার কষ্টের কিছুটা সম্মান জানানো হলো। রবিও বেশ খুশি হলো। আর আমার মা-বাবার তো আমাকে নিয়ে গর্ব করে পার পাচ্ছে না, ছেলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে! তাদের খুশি দেখে আমারও বেশ ভালোই ভাগছে। আর এতদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো এটা সত্যিই আমার কাছে একটা ছোটখাটো বিশ্বজয়ের মতোই আনন্দ!

একদিন বিকালে মিষ্টু মেসেজ দিলো। কিন্তু আমার ফোনে টাকা না থাকার কারণে রিপ্লাই দিতে পারিনি।

 

লিখেছেন : অনয় দাস,

শিক্ষার্থী- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

anoystat511@gmail.com

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ