ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের পাঁচদিন পর গত শুক্রবার রাতে চট্রগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। মামলা সূত্রে থেকে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হয়। কিন্তু খালার বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে পরিবারের সদস্য।
তবে ওই স্কুলছাত্রীর সন্ধার পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রীকে আগে থেকেই উত্ত্যক্তকারী মাইজহাটি গ্রামের আতাউর রহমান ওরফে আলতু (২৮) সেদিন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পারেন ওই ছাত্রীকে নিয়ে বখাটে আলতু চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া আছে।
পরে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আলতুকে আটক এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় আনা হয়। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রী জানায়, সেখানে আলতু তাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
অন্যদিকে থানায় অবস্থান করা অভিযুক্ত আলতু জানান, আদালতের মাধ্যমে তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই শাওন চক্রবর্তী জানান, অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে জবানবন্দির জন্য আদালতে এবং আটক অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।