কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আলুর ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম বেশি পেয়ে খুশি কৃষক। কৃষকরা আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করছেন। একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা। পাকুন্দিয়া কৃষি অফিসের মতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়ার প্রধান অর্থকরী ফসল সবজি ও ধান। এই বছর চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য খুশি। বর্তমানে ক্ষেত থেকে উঠতে শুরু করছে আলু। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ক্ষেত থেকে গাছসহ আলু কিনে শ্রমিক দিয়ে উত্তোলন করছেন। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় সুবিধা হয়েছে আলুর জন্য। এতে কৃষকদের বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয়নি।
পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্যানোলা, ব্যানোলা, ক্যারেজ এবং ডায়মন্ড জাতের আলুর চাষ হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জাতের আলুর চাষ হয়েছে। পরিপক্ক হওয়ায় মাঠ থেকে আলু উঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
পৌরসদর ২ নং ওয়ার্ডের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র মোঃ ইয়াছিন আরাফাত বলেন, করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ইরি-বোরো ধান কাটার পর ৩৫ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছি। ৬৫ দিনের মধ্যে আলু পরিপক্ক হয়েছে। পাইকাররা আমার জমির আলু ১২ শত টাকা মণ কিনে নিয়েছেন। আলু চাষে আমার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। একশত মণ আলু হবে ধারণা করছি। যার বাজার মুল্য একলক্ষ বিশ হাজার টাকা। স্বল্পসময়ে ৭০ হাজার টাকা আয় হবে। বর্তমানে ওই জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি।
পৌরসদরের কৃষক রফিক মিয়া বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে যে আবহাওয়া শুরু হয়েছিল তাতে আমরা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ জমিতে বেশি সময় পানি জমে থাকলে আলু পচে যায়। পরে আবহাওয়া ভালো হয়েছে আলুরও ফলন ভালো হয়েছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আলামিন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকদের আলুসহ অন্যান্য শাকসবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বাজারে আলুর দাম ভালো পেয়ে কৃষকরা বেশ উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার কৃষকরা একই জমিতে বছরে তিন ফসল উৎপাদন করছেন। এর মধ্যে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।