পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষেড়(নয়াপাড়া) গ্রামে একই রাতে তিন বাড়ীর গরুর খড়ের (লাচ) এ অগুন দেয় দূর্বৃত্তরা।এতে গবাদী পশুসহ ব্যাপক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। গতকাল বৃহ:বার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পাকুন্দিয়া প্রতিদিনের প্রতিনিধি হয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে পাটুয়াভাঙ্গার মহিষবেড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে রহুল আমিনের খড়ের লাচে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় জনগন খোঁজ পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্তনে আনার চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে সমগ্র খড় পুড়ে ছাই।অনাকাঙ্ক্ষিত এ আগুন কেড়ে নিয়ে যায় রুহুল আমিনের গৃহপালিত গরুর পুরো বছরের খাবার । বর্তমান সময়ে তুলনামূলক সবচেয়ে চড়া দাম দিয়েও যেখানে খড় পাওয়া যাচ্ছেনা, সেসময়ে এমন দু:সংবাদে দিশেহারা এ ভুক্তভোগী কৃষক।
মানুষজন আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে প্রত্যেকেই নিজ বাড়ীতে চলে যায়। ঠিক সে সময়টাকে পুঁজি করে দূর্বৃত্তরা রাত ১২ টার দিকে একেই গ্রামের পাশের বাড়ির তাহের উদ্দীনের ছেলে খোকন মিয়ার খড়ের লাছে আগুন দরে। খড়ের সাথে পুড়ে যায় গরুর ঘর, ঘরে থাকা গরুটাও রেহায় পায়নি আগুন থেকে। দুঃসময়ে চরম দুঃসংবাদে খোকন মিয়া দিশেহারা।
রাত যখন প্রায় ৩টা তখন ঘটে তৃতীয় ঘটনাটি, আগুন ধরে পার্শ্ববর্তী রইচদ্দীনের ছেলে দুলাল মিয়ার খড়ের লাচে। এ যেন নিষ্পেষিত কৃষকের সাথে দূর্বৃত্তদের ছেলেখেলা। যেখানে নূন আনতে পান্তা ফুরাই সেখানে একই গ্রামের ৩ টি বাড়ীতে চড়া দামের খড় পুড়ে যাওয়া কৃষকের মাথায় হাত ছাড়া আর উপায় নেই।
একই এলাকায়,একই রাতে, ভিন্ন সময়ে, ২০০ ফিটেরও বেশী দূরত্বে তিন তিনটি বাড়ির খড়ের লাচে আগুন পরিকল্পিত বলেই দাবী করেছেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্থানীয়দের ধারণা একসাথে নয়, তিন ধাপে আগুন লাগা নিশ্চয় কোন দূর্বৃত্তরা ষড়যন্ত্র করে লাগিয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এমন ঘৃণ্য ঘটনার সাথে জড়িত তা জানা যায়নি।এমন ঘৃণ্য ঘটনার শোক ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাদেক হোসেন ও এলাকাবাসী ।