
কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের পূর্ব মসূয়া(চারালদিয়া)গ্রামের মরহুম ইমাম হোসেনের ছেলে নূরুল ইসলাম গত ১০শে মার্চ ২০২০ সালে মারা যান। নূরুল ইসলাম নিজেকে পীর হিসেবে পরিচয় দিতেন। সেই সুত্র ধরেই মারা যাওয়ার প্রায় ১০ মাস পর তারই মুরিদ তার কবর থেকে পীরের লাশ চুরি করার চেষ্টা করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নুরুল ইসলাম ঐ এলাকার সুফি তথা (পীর) হিসেবে পরিচিত ছিলেন, মৃত্যু পরবর্তী তার মুরিদগন চেয়েছিলেন তার মাজার নির্মাণ করার জন্য, কিন্তু এলাকার জনসাধারনের সম্মতি না থাকায় সেখানে আর মাজার নির্মান হয়নি। তাই তার মুরিদ পাকুন্দিয়া বেলদি গ্রামের মোখছেদ মিয়া (৫৫) ও বেজুরদিয়া গ্রামের সিএনজি চালক লিটন (৩৫), ও বেলদি গ্রামের কামরুল (৩৫) তারা আজ বৃহ:বার( ৩১ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩:০০ টার দিকে কথিত পীরের লাশ কবর থেকে তুলে তাদের নিজের এলাকায় নিয়ে যেতে চাচ্ছিলো, সেখানে পীরের মাজার তৈরী করার লক্ষ্যে। এসময় পীর নুরুল ইসলামের লাশ সিএনজিতে তুলার সময় স্থানীয় জনসাধারনের কাছে ধরা পরে মুরিদ মোখছেদ মিয়া ও তার সহযোগীরা।

সবার মাঝে বসা অভিযুক্ত মোকছেদ মিয়া
মোখছেদ মিয়ার জবান বন্দীতে বলেন,মৃত নূরুল ইসলামের স্ত্রী পারুল বেগম (৫০) ও কন্যা শামসুন্নাহার(৩২) ও তার স্বামী (ফারুক মিয়া) তাদের নির্দেশে মোখছেদ মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে পীর মরহুম নূরুল ইসলামের লাশ তার কবর মসূয়া গ্রাম থেকে তুলে সিএনজিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পরে।
স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে কটিয়াদী মডেল থানার দায়িত্বরত অফিসার মনিরুজ্জামান ঘটনার তদন্তের পরে “পাকুন্দিয়া প্রতিদিন”কে জানান যে পারিবারিক সম্মতির মাধ্যমে মোখছেদ মিয়া ও তার সহকারীরা এ কাজ করে। সামাজিকতা কে প্রধান্য দিয়ে মসূয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক, মসূয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা সহ স্থানীয় সকল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে তারা এ ধরণের কাজ আর ভবিষ্যৎ এ না করার সম্মতিতে তাদেরকে মাফ করে দেওয়া হয়। এবং পীরের পূর্বের কবরেই আবার পীরকে দাফন করা হয়।

পলিথিনে মোড়ানো কবর থেকে তুলা পীরের লাশ
মুরিদকতৃক পীরের এ লাশ চুরির অভিনব ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ঘটনাস্থল সহ প্বার্শ্ববর্তী এলাকায়। বিষয়টি সরাসরি দেখার জন্য নানা এলাকা থেকে ছুটে এসেছিল উৎসুক জনতা।