বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রায় ১০ বছর বন্ধ পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপরেশন থিয়েটার
/ ১৯৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করলেও তা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। চিকিৎসক, কর্মচারী ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ্যানেসথিয়া, সার্জারী ডাক্তার না থাকায় ৯ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। বিদ্যুতের অভাবে চলছে না একমাত্র এক্সরে মেশিনটি। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে ২০১১ সালে উন্নত যন্ত্রপাতি দিয়ে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হলেও সার্জন, এ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় আজও চালু হয়নি ওটি। ফলে গাইনী কন্সসালটেন্ট থাকলেও বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। অন্যদিকে টেকনোলজিষ্ট থাকলেও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, জেনারেটর না থাকায় লো ভোল্টেজে চলছে না এক্সরে মেশিন।

সরজমিনে দেখা যায়, বছরের পর বছর অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় অটোক্লাব মেশিন, এ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ডায়াথার্মী মেশিন, ডেলিবারী টেবিল, ওটি টেবিল, ওটি লাইট, সার্জারী যন্ত্রপাতি অযতেœ ধুলো-বালি মরিচা পরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের হাসপাতালের সামনে গড়ে উঠা প্রাইভেট ক্লিনিক কিংবা জেলা সদর হাসপাতাল গুলোতে দৌড়াতে হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নি¤œ আয়ের রোগী ও তাঁদের স্বজনরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন শাহানাজ পাকুন্দিয়া প্রতিদিন কে জানান, আমাদের আন্তরিকতা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকলেও সার্জন, এ্যানেসথেসিষ্ট ও প্রয়োজনীয় ডাক্তারের অভাবে অপারেশন থিয়েটার চালু করতে পারছি না। দ্রুত ওটি চালু ও জনবল সংকটের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং যোগাযোগ রক্ষা করে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ