হাদীস শরীফে এসেছে, বান্দা যখন নামাযে দাঁড়ায় সে তখন রবের সাথে কথাপোকথন করে। ফিরিশতাগণ জামাতের নামাযে তার সাথে কাতারবন্দি হয়ে দাঁড়ায়। তার তিলাওয়াত খুব নিকট থেকে শোনে। এজন্য নামাযে দাঁড়ানোর পূর্বে বান্দার কর্তব্য হল, পাকসাফ হয়ে সবধরনের পবিত্রতা অর্জন করে নামাযে দাঁড়ানো। নোংরা ময়লা পোশাক নিয়ে দুর্গন্ধময় মুখ ও শরীর নিয়ে প্রভুর সম্মুখে দাঁড়ানো কিছুতেই কাম্য নয়।
এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযুতে মিসওয়াকের এত গুরুত্ব প্রদান করেছেন। কোনো কোনো বর্ণনার ভাষা লক্ষ করুন-
لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ وُضُوءٍ.
আমার উম্মতের উপর যদি (অধিক) কষ্টের আশঙ্কা না হত তাহলে আমি তাদের উপর প্রত্যেক ওযুর সময় মিসওয়াক আবশ্যকীয় করে দিতাম। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৯২৮
অপর বর্ণনায় এসেছে-
لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ.
প্রত্যেক নামাযের সময় মিসওয়াক আবশ্যকীয় করে দিতাম। -সহীহ বুখারী, ৮৮৭
হাদীস শরীফে উত্তমরূপে ওযু করার কথা বলা হয়েছে। উত্তমরূপে ওযু করার দ্বারা আমাদের গুনাহগুলো ঝরে যায়।
সহীহ মুসলিমে উসমান রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
منْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوضوءَ، خَرَجَت خَطَايَاهُ مِنْ جسَدِهِ حتَّى تَخْرُجَ مِنْ تحتِ أَظفارِهِ.
যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু করল তার শরীর থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে গেল। এমনকি তা আঙুলের অগ্রভাগ দিয়ে তা বের হয়ে যায়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৪৫
উত্তমরূপে ওযু তো তখনই হবে, যখন ওযুর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্নতসহ যথাযথভাবে আদায় করা হবে। আর মিসওয়াক ওযুর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। উত্তমরূপে ওযু আদায় হওয়ার জন্য মিসওয়াক জরুরি অনুষঙ্গ।
ওযুতে কুলি করা নাকে পানি দেয়া সুন্নত। তেমনি ওযুর সময় মিসওয়াকও একটি সুন্নত। কুলি ছুটে গেলে বা নাকে পানি দিতে ভুলে গেলে প্রশ্ন করা হয় ওযু হবে কি না? অথচ মিসওয়াক নিয়মিত ছুটে যাচ্ছে কি না- এ প্রশ্ন কি মনে জাগে! এ অবস্থার সংশোধন হওয়া জরুরি।