সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
১০ বছর ধরে জাল সনদে চাকরি করছে পাকুন্দিয়ার দুই শিক্ষক
/ ১৫৮ Time View
Update : শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার : টেম্পারিং করে অন্যের সনদে নিজের নাম ব্যবহার করে ওই সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দুই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক। এদের মধ্যে একজন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এবং অন্যজন ৯ বছর ধরে যথারীতি চাকরি করে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন।

১০ বছর পর এই দুই শিক্ষকের সনদ জাল-জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ৷ এনটিআরসিএর নির্দেশনা মোতাবেক অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজুর পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে দুই মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

এনটিআরসিএর চিঠির সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের চর পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ে এবং ২০১১ সালে একই ইউনিয়নের হরশী উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার পদে নিয়োগ পান দুই শিক্ষক। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার হিসেবে শিক্ষকতা করে নিয়মিত বেতন-ভাতাও উত্তোলন করে আসছিলেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যাচাই করে জানতে পারে- চর পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুল আলম মোহাম্মদ মনির হোসেন নামের অন্য এক ব্যক্তির সনদ টেম্পারিং করে নিজের নাম বসানো জাল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন।

অপরদিকে হরশী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মফিজ উদ্দিনও শাহীদুল ইসলাম নামের অন্য এক ব্যক্তির সনদ টেম্পারিং করে নিজের নাম বসানো জাল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন।

এ ঘটনায় ২৬ নভেম্বর এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি পত্রে ওই দুই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ ঘটনা জানানো হয়।

এ ব্যাপারে চর পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ শামসুল আলম এবং হরশী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মফিজ উদ্দিন জানান, চাকরি পেতে তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এছাড়া এসব সনদ তাদের নয় বলেও জানান তারা।

চর পলাশ উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম বলেন, তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অনেক আগেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।

তবে তিনি এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডেকে জরুরিভিত্তিতে থানায় মামলা রুজুর উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ