বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাকুন্দিয়ায় মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ
/ ১৫৩ Time View
Update : শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১:১১ পূর্বাহ্ণ

 

মো আরমান হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার

কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলায় বেপরোয়াভাবে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চলাচলের কারণে কিশোরগঞ্জ টু পাকুন্দিয়া কোদালিয়া এলাকায় বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
তারা জানায় ইটভাটার সিজনে একই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়াভাবে অনরগল মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারণে একদিকে রাস্তা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । আর প্রাণ হারানোরসহ ঘটেছে অহরহ ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা।

পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রায় সবখানেই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটা, সেই মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে ইট ভাটায় নিয়ে যায়। নিয়ে যাবার পথে পুরো রাস্তা মাটি পরতে থাকে ও জমিন হতে চাকার পৃষ্টে লেগে থাকা মাঠি রাস্তায় পরছে যা এখন রাস্তা নষ্ট হচ্ছে ও ধুলাবালি তে অতিষ্ট জনগণ পরবর্তীতে অল্প বৃষ্টিতে হবে কাদা, এই দূরাবস্থা দেখার কেউ নেই। গতবছর এমনি কারণে পার্শ্ববর্তী বিন্নাটি এলাকায় বর্ষাকালে ঘটে প্রাণহানী সহ ছোট বড় দুর্ঘটনা। ড্রাইভার এর দাবি বিটুমিন রাস্তায় কাদা হলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, আর তাই ঘটে থাকে দূর্ঘটনা ।

বিভিন্ন ইট ভাটায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন করায় উপজেলার প্রায় সব রাস্তা জনসাধারণের চলাচলের ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবি সহ বিভিন্ন পেশার লোক সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে থাকে তাদেরকেও পড়তে হয় বিপাকে।
তাছাড়া ট্রাক্টর বেপরোয়ভাবে চলাচলের কারণে পাকা রাস্তা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ধুলোময় পরিণত হয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে যেন মরণফাঁদে পরিণত হলো।

কোদালিয়াএস আই উচ্চ বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক রুবেল মিয়া বলেন এই এলাকায় স্কুল মাদ্রাসা কিন্ডার গার্ডেন হইতে ৪টি স্কুলের কচিকাচা শিক্ষাথীরা চলাচলের ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সুধু এই রাস্তা নয় উপজেলার প্রায় সব রাস্তাগুলোর একই অবস্থা।

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ , শারমিন শাহনাজ বলেন ধুলা বালিতে চলাচলের দ্বারা শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও এই ধুলাবালি নাশিকা দিয়ে প্রবেশ করায় জনসাধারণের মাঝে শাসকষ্ট রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিডি) মোঃ হাবিবুল্লা বলেন নিষেধ খাকলেও কেউ তা মানছে না। বিশেষ করে ইট ভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক্টরগুলো বেশি ক্ষতি করছে রাস্তার। চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামছুউদ্দিন বলেন স্হানীয় কিছু দালালদের হাত করে ভাটার লোকজন মাটি সংগ্রহ করে ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে যায়, কিন্তু বেপরোয়ভাবে চলাচলের কারণে পাকা রাস্তা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ধুলোময় পরিণত হয়েছে । সামান্য বৃষ্টি হলে পাকার উপর কাদার পরিনতি হয়ে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকে ।

এই অবস্থায় এলাকাবাসী সরকারী উপরস্থ কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ