
আশরাফুল হাসান মোরাদ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যখন সবাই দিগ্বিদিক ছুটছে তখন আশার আলো দেখাচ্ছে পাকুন্দিয়ার কৃষকের মাঠে সোনালী আমন ধানের বাম্পার ফলন। পাকুন্দিয়া অঞ্চলে ধান চাষ করে বাম্পার ফলনে আনন্দিত কৃষকরা।
দেশের চাষী জমির ৭৬% শতাংশ জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমির ধান প্রায় হলুদ রং ধারন করেছে যাতে করে কৃষকরা এবার ধান চাষ করে ব্যাপক লাভবান হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে কৃষকরা ।
কৃষকদের একমাত্র অবলম্বন আমণ ধান যা হাজার সমস্যার মুখমুখি হয়েও সফল ভাবে অচিরেই কৃষাণীর ঘোলায় উঠবে। কৃষকদের ধারনা প্রতি বিঘায় প্রায় আঠার মণের ও অধিক ফসল পেতে পারে।
ধান গাছে যখন বিভিন্ন কীটের আক্রমন ঘটে তখনও বুরুদিয়ার কৃষকরা হাল ছেড়ে দেয় নি তারা পরামর্শ নিয়েছেন নিকটস্থ পাকুন্দিয়ার কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যাতে করে ঐ সকল কীটের মোকাবেলা করে পাকা ধান ঘোলায় তুলতে নিজেকে বিলিন করে দিয়েছে সেখানকার কৃষকরা।
ধানের সোনালি রং এ এখন কৃষকের বিলিন হওয়া স্বপ্নকে মুষ্টিবদ্ধ করে আশায় প্রহর গুনছে কৃষকরা।
ধানের এ ফলনে যেমনি খাদ্য নিরাপত্তার সুরক্ষা সম্ভব তেমনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। তবেই কৃষকের ঘামঝড়ানো শ্রম সফল ও স্বার্থক হবে।সেইসাথে কৃষিতে চলমান শ্রমিক সংকট, আধুনিক কৃষি যন্ত্রাপাতি নিরসনে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্ট কৃষকদের।