বাদশাহ হারুনুর রশীদ দরবারে
বাদশাহ হারুনুর রশীদের কাছে এক লোক একটি চাতক পাখি বিক্রি করার জন্য নিয়ে এলো। তিনি দাম জিজ্ঞেস করলে সে বাজারমূল্যের চেয়েও অনেক বেশি দাম চাইলো।
বাদশাহ জানতে চাইলেন, পাখিটির এত দাম কেন? অথচ তার একটি পা নেই!
লোকটি বললো, মার্জনা করবেন জাঁহাপনা!
দেখতে সাধারণ হলেও এটি আসলে একটি বিশেষ ধরণের পাখি। এর বিশেষত্ব হলো- আমি যখন শিকারে যাই, তখন এই চাতক পাখিটিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাই।
আমার পাতানো ফাঁদের সাথে এই পাখিটিকেও বেঁধে রাখি। এই পাখিটি তখন অত্যাশ্চর্য এক আওয়াজে অন্য পাখিদের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
তার এই আওয়াজ শুনেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা এসে জড়ো হয়। তখন আমি একসাথে সব পাখিকে শিকার করি। বলা যায় এই পাখিটিই আমার শিকারের প্রধান ফাঁদ।
বাদশাহ তার কথা শুনে পাখিটিকে শিকারীর চাহিদা অনুযায়ী চড়া দামেই কিনলেন এবং সাথে সাথে জবাই করে ফেললেন। শিকারী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, জাঁহাপনা! আপনি অনেক দামে কেনা পাখিটি এভাবে জবাই করে দিলেন?
তখন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তাকে একটা মহামূল্যবান কথা বললেন, যা ইতিহাসে আজও অমর হয়ে আছে। তিনি বললেন,
“যে অন্য জাতির দালালি করার জন্য তার স্বজাতির সাথে অনায়াসে এমন গাদ্দারি করতে পারে, তার এই পরিণতিই হওয়া উচিত”।
সংগ্রহে : আনোয়োর হোসেন আব্দুল্লাহ
শিক্ষার্থী, বাইতুচ্ছালাম ইকবাল রোড, মোহাম্মদপুর।