আশরাফুল হাসান মোরাদ
বাংলাদেশের মোট ফসলী জমির প্রায় ৭৬% জমিতে ধান চাষ করা হয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় জাতের তুলনায় এসব হাইব্রিড জাতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়।কৃষিবিদদের মতে বাংলাদেশে মাজরা পামরি, বাদামী গাছ ফড়িং ধানের প্রধান তিনটি ক্ষতিকর পোকা।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কটিয়াদি সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ধানক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ক্ষেত বাঁচাতে সারাক্ষন বিভিন্ন বিষ প্রয়োগ করছেন ক্ষেতের চারপাশে।
পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জমির ধান এসব পোকার কাছে জিম্মি। জমির আমন ধানের গাছে ব্যাপক হারে মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে। মাজরা পোকার আক্রমণের কারণে অধিকাংশ ধান গাছের পাতা মরে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোনো কোনো জমির ধান গাছ প্রায় পাতা শূণ্য হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে চাষীদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নিচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকের মন্তব্য, “প্রত্যেক বছর প্রায় এই সময়ে আমন ধানে এমন ধরনের পোকার আবির্ভাব ঘটে বিশেষ করে অতি বৃষ্টির কারণে এ সকল পোকার আবির্ভাব বেশি হয়”।
পাকুন্দিয়া প্রতিদিনের বুরুদিয়া প্রতিনিধিকে পাকুন্দিয়ার উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো: মোফাজ্জল হোসেন জানান “তৃণমূলের কৃষিকে সমৃদ্ধশালী করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদেরকে দিচ্ছেন বিভিন্ন পরামর্শ যা আক্রমণী ধান গাছ কে রক্ষা করতে ব্যাপক ভৃমিকা পালন করবে”। তিনি আরো বলেন যে এসব কীট কে দমন করতে যে সব কীটনাশক ব্যবহার করছেন কৃষকরা তাতে ফসলের এবং পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। এবং সেই সাথে কৃষক ও তার স্বপ্নের ফসল ঘোলায় তুলতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।