চলছে শরৎ কাল। এ যেমন ঋতুর রানি, কাশফুল, আকাশের সাদামেঘে মন হারিয়ে যায়,তেমনি এই ঋতুতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাছের ফল তালও পাকে।তাল গাছের সাথে আমাদের পরিচয় ছোট বেলা থেকেই। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী তালগাছের গুরুত্ব ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন, ‘তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’
অন্যদিকে খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন ‘কানা বগীর ছা’ কবিতায় লিখেছেন, ‘ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ। ঐখানেতে বাস করে কানা বগির ছা।’
তাল গাছ বজ্রপাতের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। কচি তালের শাঁস খেতে ভারী মজা উপকারিতাও কম নয়। পাকা তালের রসের পিঠা গ্রাম বাংলার এক উপাদেয় খাদ্য। পাকা তালের বীজ মাটিতে ফেলে রাখলে তার অঙ্কুর গজায় তখন বীজ কাটলে একটি সাদা বলের মত ফুল পাওয়া যায় তাও খেতে সুস্বাদু। অর্থাৎ গ্রাম বাংলার খাদ্য তালিকার ঐতিহ্যে তাল অতুলনীয়।
কচি তালের শাঁসের পুষ্টি গুন: ১০০ গ্রামের তালের শাঁসের ৯২ দশমিক ৩ শতাংশই থাকে জলীয় অংশ, ক্যালরি থাকে ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন ০.০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম।
পাকা তালের রসের পুষ্টি গুন: প্রতি ১০০ গ্রাম রসে রয়েছে- খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম।
সংগ্রহে : আনোয়ার হোসেন আব্দুল্লাহ