স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা । আজ ১০ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদের গেইটে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধনে পাকুন্দিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না বলেন, ‘বাংলাদেশে দিন দিন নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন বেড়ে যাচ্ছে। তা প্রতিরোধ করতে হলে একমাত্র আইনের শাসন কঠোরভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ধর্ষকের একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড।
তাহলেই ধর্ষণরোধ সম্ভব। তিনি বলেন, আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীরা ঘর থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটে যাতে নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি একজন নারী। আপনি নারী জাতির অহংকার। জাতির পিতার এই বাংলাদেশে কোন নারীকে আর ধর্ষিত হতে দেখতে চাই না। একটি শিশুও যাতে আর নির্যাতিত না হয়। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুন। ধর্ষকরা শাস্তির কথা ভেবে যেন ভয় পায়।
মানববন্ধনে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণত সম্পাদক খালেদা আক্তার কল্পনা বলেন, নারীরা কারো মা, কারো বোন কারো কণ্যা। নারীদের অপমান করা হলে গোটা জাতিকে অপমান করা হয়। সারাদেশে সকল নির্যাতিত নারীরা যাতে বিচার পায় সেই দাবি জানাচ্ছি। এ সময় পাকুন্দিয়া উপজেলার চরতেরটিকিয়া গ্রামের নির্যাতিত ধর্ষিত নারী ঝুমা আক্তার মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বলেন, আমি নিজেও নির্যাতিতা ও একজন ধর্ষিতা নারী। আমাদের মতো নারীদের সমাজে কোন জায়গা হয় না। যে কারণে আমাদেরকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। নির্যাতিত ওই নারী আরো বলেন, দেড় মাস হলো মামলা করেছি।
এখনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি ন্যায় বিচার চাই। মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মিতু আক্তার, চরফরাদী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণত সম্পাদক আছমা আক্তার, সুখিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেনু আক্তার, সাধারণত সম্পাদক সালমা আক্তারসহ অর্ধশতাধিক নেত্রীবৃন্দ।