আশরাফুল হাসান মোরাদ
সম্প্রতি তৃণমূলে গড়ে ওঠা কিশোররা আজ নানা গ্যাং এ রূপান্তর হয়ে সমাজকে নানামুখী সমস্যার সম্মুখীনে দাঁড় করাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরাও যোগ দিচ্ছে এসব নানা গ্যাং এ।
একসময় শহর অঞ্চলে কিশোর গ্যাং এর প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শহর ছেড়ে তার প্রভাব গ্রামের দিকেও ছড়িয়েছে।
১৫/২২ বছরের কিশোররা আজ বিভিন্ন গ্যাং এ পরিণত হচ্ছে, পড়ালেখা বাদ দিয়ে গ্রামের রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে তারা দিন – রাত আড্ডা দিচ্ছে। আর সময়ে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন নেশা ও অপরাধে।চুরি,ইভটিজিং, এমনকি ধর্ষণেও অনেকেই সক্রিয় হচ্ছে। এক গ্রুফ অপর গ্রুফের কোন সদস্যকে হাত পা বেঁধে পিটাচ্ছে।দলবদ্ধভাবে তারা ঘুরাফেরা করে। আবার অনেকেই নেশার টাকার জন্য সাধারণ কোনো মানুষ কে ফাঁদে ফেলে তার সাথে থাকা সকল কিছু হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে মানুষ যেমন বিপদে পড়ছে তেমন তাদের ও সাহস দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট ছোট অপরাধে সক্রিয় হয়ে তারা জড়িয়ে পড়ছে বড় বড় অপরাধেও।
স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষক এ প্রসঙ্গে বলেন , কিশোর গ্যাং হওয়ার অন্যতম কারণ হল পারিবারিক শিক্ষার অভাব। যদি কোনো সন্তান কে তার পরিবার পারিবারিক সু শিক্ষার আলো দেখাতে পারে তবে আজকের এই কিশোর কোনো গ্যাং এর সাথে নিজেকে জড়াতো না। এবং পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রসার ঘটত তবে এই বয়সের কিশোররা নিরাপদে বেঁচে থাকতো।
একজন ধর্মযাজকের মন্তব্য অনুযায়ী, পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার-আচরণ, মূল্যবোধ এর অবক্ষয়ের কারনে আজ এসব কিশোর গ্যাং এর উৎপত্তি।
এখন যাদের মানসিক বিকাশ সাধনের কথা আজ তারা জড়িয়ে যাচ্ছে নানামুখী অপরাধের সাথে, যার ফলে ভবিষৎ এ তাদের কাছ থেকে সমাজ ও জাতি ভালো কিছুর স্বপ্ন ও আশা করতে পারে না। পাকুন্দিয়ার কটিয়াদিসহ তৃণমূলের জনসাধারণের দাবি দ্রুত এসব দেশের সম্পদ কিশোরদের রক্ষা করা। সরকার ও প্রশাসনের কাছে কিশোর গ্যাং থেকে কিশোরদের সুন্দর জীবন কামনা করে সর্বস্থরের জনতা। এবং অনেক সময় শুনা যায় কিছু কুচুক্রিমহল এই সব কোমলমতি কিশোরদেরকে মাদক ও নানা অপরাধের প্রতি উৎসাহিত করে তাদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসব মাদক ব্যাবসায়ী ও কুচুক্রীমহলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন সচেতন মহল।
বুরুদিয়া ইউপি প্রতিনিধি