স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলা অনলাইনভিত্তিক গেম ‘ফায়ার গেম’ ‘লুডু’ ‘তিন পাত্তি গোল্ড’সহ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগকে (আইপিএল) ঘিরে রমরমা জুয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধনের পর জুয়ার অর্থ ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। ভার্চুয়াল জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। জানা যায়, পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের ফেসবুক গ্রুপে এ ধরনের জুয়ার লিংক আপলোড দেওয়া হয়। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে গুগল প্লে স্টোর থেকেও এই গেম ডাউনলোড দেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ বলেন, ‘গত দুই মাস আগে সহপাঠীর সহায়তায় এই খেলায় নামি। প্রথম দিকে দুয়েকবার জিতলেও পরে হেরেই গেছি। এক সময় বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে খেলতাম। ধারের টাকা শোধ দিতে না পেরে তাদের সঙ্গে সম্পর্কটাও খারাপ হয়েছে।’ এদিকে আইপিএলে কোন দল জিতবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটসম্যান বেশি ছক্কা মারবে এ নিয়ে পুলেরঘাট বাজার, পাকুন্দিয়া , মঠখলা, হোসেন্দি, কোদালিয়া, সুখিয়া জাঙ্গালিয়া,মিজার্পুরসহ বিভিন্ন স্থানে সেলুন, মুদি ও চায়ের দোকানে হাজার হাজার টাকার জুয়া চলছে।
প্রতিদিন রাত ৭ টার পর থেকে সমন্বয়কের কাছে জুয়ার টাকা জমা করা হয়। পরে খেলা শেষে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করা হয়। মোবাইল ও ইন্টারনেটে ফোন, হোয়াটস্আপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমেও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা বাজি ধরা হয়।
অপরাধ বিষয়ে একজন শিক্ষক বলেন, অনলাইন জুয়া থেকে অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। সামাজিক এই অবক্ষয় ঠেকাতে অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জুয়া বন্ধে প্রশাসন সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকা সচেতন মহল ।