আশরাফুল হাসান মোরাদ (বুরুদিয়া প্রতিনিধি)
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা যায় ঠিক তেমনি তার বীপরিত দিক ও মাঝে মাঝে লক্ষনীয়। তেমনি একটি দিক নিয়ে আজকের আলোচনা।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচিত এক নাম
টিক-টক,চীনে যা ডুইয়িন নামেও পরিচিত। উইকিডিয়ার মতে আক্ষরিক অর্থে টিকটক হলো ‘গলা কম্পন ছোট ভিডিও’ যা হলো একটি সঙ্গীত ভিডিও প্ল্যাটফর্ম।সামাজিক নেটওয়ার্ক মাধ্যমে যা সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে চালু করা হয়েছিল । টিক-টকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং।
কিশোরগঞ্জের জেলার পাকুন্দিয়ার কিশোর যুবকদের মাঝে লাইকি এবং টিকটক এর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। যাতে করে কিশোর ও যুবকরা নৈতিকতা থেকে অনৈতিক দিকেই বেশি ঝুকছে।
এসব বিভিন্ন ভিডিও দেখে যুবকরা তাদের চলাফেরা, আচার-আচরণ, শিষ্টাচার, নৈতিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছে।
দেখা যায় যে তাদের চুলের কাটিং,দাড়ির কাটিং , পোশাক পরিচ্ছেদ ইত্যাদি সামাজিক নিয়ম পরিপন্থী। যাতে করে দেখাযায় তারা আরো বিভিন্ন অন্যায় মূলক কার্যক্রম এর সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব টিকটক, লাইকি ও অসামাজিক ভিডিও দেখে আজকের যুব সমাজ ধংব্বশের দিকে দাপিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন নেশার সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিচ্ছে । ক্যারিয়ার বিধ্বংসী এ নেশা থেকে যুব সমাজকে প্রতিহত না করা যায় তবে তার রূপ ভয়াবহ ধারন করতে পারে যে কোনো সময়। তাই সচেতন মহল দ্রুত এসব অপসংস্কৃতির প্রতিরোধ কামনা করছেন।