সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পাকুন্দিয়ায় খালের অভাবে হাজারাও বিঘা আবাদি জমি এখন অনাবাদি
/ ১১২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:২০ অপরাহ্ণ

মো: আরমান হোসেন: কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া উপজেলায় একটি খালের অভাবে জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি থাকছে। প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল খনন করা হলে জমিগুলোতে বছরে তিনটি ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হতো। এতে করে এলাকার অর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

পাকুন্দিয়ার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের একাংশ জমিজানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চিলাকাড়া কাল্লিয়া বিলে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল ছিল। আর ওই খাল দিয়ে মাঠের পানি বের হয়ে পূর্ব পাশের কিশোরগঞ্জ সদর চৌদ্দশত টুটিয়াচর গ্রাম হয়ে রুওয়া বিলে চলে যেত। এতে করে শইলজানি, চিলাকাড়া , কোদালিয়া, কয়ারখালী, জুগনিপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মাঠের প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বিঘা জমিতে বোরো, আমন ও পাটের আবাদে কোন সমস্যা হতো না।

কিন্তু ১৫ থেকে ২০ বছর আগে চিলাকাড়া গ্রামের শেষ প্রান্তে ছোট খাল যা এখন ফসলি জমির সমতল হয়ে যায়, খালের মুখ সরু প্রায় বন্ধের উপক্রম। মাটি ভরাট করে দিয়ে সেখানে একটি ইটের ভাটা, বাড়ি, ফিসারি করা হয়। এতে করে চিলাকাড়া মাঠের পানি বের হয়ে টুটিয়াচর গ্রামের মাঠ পযর্ন্ত যেতে পারলেও রুয়া বিলে যেতে পারে না। পানি বের হয়ে যাওয়ার বিকল্প কোনো পথ না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠের পাটসহ বোরো ও আমন ফসল ডুবে যায়। এতে কৃষকরা আমনের আবাদ ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তারা পাটের আবাদও ছেড়ে দেন। সর্বশেষ ওই এলাকার কৃষকরা শুধু একটিমাত্র ফসল বোরো ধান চাষাবাদ করে। কিন্তু বৃষ্টি হলে সেই ধানও হাঁটু পানির মধ্যে কাটতে হয়। এতে করে তিন ফসলি জমি এখন এক ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। পানি জমে থাকায় জমিতে কচুরিপানার স্তুপ জন্মেছে। বর্তমানে স্থানীয়রা এ মাঠে মাছ শিকার করেন। অথচ মাত্র ১ কিলোমিটারে মত খাল খনন করা হলে সেখানে আবারও বছরে সেই সব জমিতে তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব।

চিলাকাড়া গ্রামের কৃষক সিরাজ উদ্দিন বলেন, এই মাঠে ১৫-২০ বছর আগেও বোরো, আমন ও পাট চাষ করা হতো। কিন্তু জলাবদ্ধতা কারণে এখন শুধু বোরো চাষ করা হয়। অন্য কোন ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হয় না। এখানে একটি খাল খনন করা হলে সেই খালের পানি দিয়েই আবাদ করা সম্ভব হবে। এছাড়া খালের পানিতে মাছ চাষ ও হাঁস পালন করা যাবে। একই গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, খাল খননের সময় যদি ওই খাল আমার জমির ওপর দিয়ে যায় সেক্ষেত্রে সরকারকে আমি জমি দিয়ে দেব। কোন প্রকার আপত্তি করব না। জলাবদ্ধতার কারণে সারাবছরই কয়েকশ বিঘা জমিতে পানি জমে থাকে। খাল খনন করা হলে আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। আমাদের সবার জন্যই সুবিধা হবে। এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃনাহিদ হাসান বলেন, যেহেতু আগে ওই মাঠের পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল। তাই মাঠটি পরিদর্শন করে স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি সহযোগিতায় প্রকল্পের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেয়া হবে

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
আমাদের ফেইসবুক পেইজ