সালীম আহমাদ মধুপুরী
বিচিত্র এই জগৎ-সংসারে বিচিত্র সব মানুষ।কারো সাথে কারো মিল নেই;না
সুরতে,না সীরাতে।তবুও সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে,সবার সাথে এক প্রকারের
সুসামঞ্জস্যতা-সমন্ব্যয়তা বজায় রেখে চলতে হয়।কোন মানুষই সব দিক দিয়ে
নিখূত নয় । ভালো মন্দের সমাহার সবার মধ্যেই পরিলক্ষিত হয়।কেউ বেশী
ভালো,কেউ বেশী মন্দ,কেউবা সমানে সমান।আমাদের উচিৎ,মানুষের ভালোকে গ্রহণ করতে চেষ্টা করা,মন্দগুলোকে গ্রহন না করা।
তবে ভালো মন্দের প্রায় নিখূত নির্ণয় তারা করতে পারে,যাদের মনমানসিকতা
মধ্যম পন্থা অবলম্বণ করে চলে।যারা অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিতে সবকিছু
পর্যবেক্ষণ করে। অদ্য{২২.৫.১৬ইং} বিকেলে শ্রদ্ধেয় মাওলানা মোস্তফা কামাল {অধ্যাপক,মধুপুর অাদর্শ মাদরাসা, টাঙ্গাইল} সাহেবের সঙ্গে মুলাকাত হয়।মনে হলো তাঁর মনটা খারাপ। সালামান্তে জানতে পারলাম,তাঁদের মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব প্রফেসর হাসমত আলী আকন্দ সাহেব গত ১৬.৫.১৬ইং তারিখে ইন্তেকাল করেছেন {ইন্নালিল্লাহ্………}। সেজন্য তার মন খারাপ। আরো জানালেন,মরহুম
অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন।বিশেষত তাঁর একটা গুণ যা সবাইকে বিমুগ্ধ করতো
তাহলো,তাঁর ওষ্ঠদ্বয়ে সদা-সর্বদা একটুকরো স্মিত হাসির ঝিলিক।শত পেরেশানী থাকলেও কাউকে বুঝতে দিতেননা। কখনো কারো সাথে রাগ করতেননা,রুক্ষ ও কঠোর মনোভাব প্রদর্শন করতেননা। এই রাগমুক্ত,
কোমলতা ই তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষচূড়ায় আরোহন করিয়েছে।
আমি তখন মনে মনে লজ্জিত হলাম।ভিতরে হোচট খেলাম।ক্ষণিকের জন্য ভাবনা থেমে গেলো!!পরক্ষণেই ভাবোদয় হলো হৃদয়াকাশে। “তাইতো! অামিতো বদমেজাজী মানুষ!রাগী মানুষ! অথচ এসব নিকৃষ্ট। হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে এ ব্যাপারে।
عَنْ حَارِثَةَ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّم لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ وَلَا
الْجَعْظَرِيُّ.
হারেছ ইবনু ওয়াহাব (রাঃ)থেকে বর্ণিত,
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘কঠোর ও রুক্ষ্ম
স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫০৮০।
তখন মনে মনে একটা পণ করেই ফেললাম! “এই ‘নি-রাগ,কোমল’ গুণটি আমার অর্জন করা চাই;হ্যা চাই-ই…।
আল্লাহর দরবারে কায়মনে দুআ করলাম,প্রভূহে! আমাকে ক্ষমা করো,এই
প্রসংশনীয় গুণ আমায় প্রদান করো।
অতপর মরহুমের জন্য দুআ করে,মাও.সাহেবের কাছে দুআ চেয়ে অকুস্থল ত্যাগ করলাম।
মধুপুর,টাঙ্গাইল।মোবাঃ01746145302