স্টাফ রিপোর্টার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের (বরখাস্ত) চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু হাইকোর্টের রায় মোতাবেক রবিবার বেলা ১১ টার সময় পাকুন্দিয়া উপজেলা গেইট সম্মুখে তাহার জনবল নিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় পাকুন্দিয়া উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের লোক জন তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়।
এতে করে দু- পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে, এক পর্যায়ে ইট পাটক্ষেল ও দেশিয় অস্ত্রসহ দাওয়া পাল্টা দাওয়া শুরু হয়, এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. হাবিবুর রহমান, সহ তিন জন আহত হয়। প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী দু- পক্ষের দাওয়া পাল্টা দাওয়ার পর পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ উভয় পক্ষের উত্তপ্ত ঘঠনা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ২০ বছর পূর্বের এক স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধকে হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় গত ৫ জুলাই রফিকুল ইসলাম রেনু কে উপজেলার চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় প্রজ্ঞাপন জাড়ি করেন পরবর্তিতে রফিকুল ইসলাম রেনুর রিট পিটিশন করেন মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে উক্ত পিটিশন শুনানী শেষে এই সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ হাইকোর্ট বিভাগ স্থগিত করেন । কিছু দিন পর আবারও উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যানদের অনাস্তা প্রস্তাবের কারনে পরবর্তিতে স্থায়ীভাবে বহিস্কার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শুণ্য ঘোষনা করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।
রফিকুল ইসলাম রেনুর দাবি উচ্চ আদালতের আদেশ পেয়ে তার কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে এই সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।